পলাশে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত বাবা

১১ মার্চ ২০২৫, ০৫:১০ পিএম | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৩ এএম


পলাশে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত বাবা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর পলাশে ভাড়া অটোরিকশায় যাওয়া নিয়ে তর্কবিতর্কের জেরে প্রতিপক্ষের লোক ভেবে সুমন মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা ও তার পিতাকে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ মার্চ)  রাত ৮টার দিকে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
 
নিহত সুমন মিয়া (৩০) পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের রাজমিস্ত্রি আলম মিয়ার ছেলে ও পেশায় রাজমিস্ত্রি।  আহত রাজমিস্ত্রি আলম মিয়াকে (৫৫) আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। 
 
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকালে জয়নগর এলাকার হিমেল নামের এক যুবক ও তার সহযোগীরা একটি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে ডাঙ্গা বাজারের দিকে চাইলে চালক যেতে রাজি হননি। পরে একই এলাকার মুকুল মিয়া নামের একজন তার অসুস্থ মাকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যেতে অনুরোধ করলে অটোচালক নিয়ে যেতে রাজি হয়। এতে সেখানে থাকা হিমেল ক্ষিপ্ত হয়ে অটোচালক ও মুকুলের সাথে তর্কবিতর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে মুকুলকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় হিমেল ও তার সহযোগীরা। 
 
এই জেরে রাত ৮টার দিকে ছুরি, ছেনিসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মুকুলের বাড়িতে যায় হিমেল ও তার সহযোগীরা। মুকুল ঘর থেকে বের না হলেও ঘটনা দেখতে আসেন প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রি আলম মিয়া ও তার ছেলে সুমন মিয়া। এসময় তাদেরকে মুকুলের লোকজন ভেবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। স্বজন ও স্থানীয়রা পিতাপুত্রকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পুত্র সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং পিতা আলমকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠায় চিকিৎসক। 
 
মুকুল মিয়া জানায়, অটোরিকশা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হিমেল আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে সেখানে থেকেই ফোনে ছুরিছেনি নিয়ে আসতে ফোনে কাকে যেন বলছিলেন। রাতে তারা আমার বাড়ির সামনে দোকানে এলে আমাকে না পেয়ে ঘটনা জানতে এগিয়ে যাওয়া প্রতিবেশি পিতাপুত্রকে কুপিয়ে হতাহত করে। তাদের সাথে আমার ও প্রতিবেশির কোন পূর্ববিরোধ নেই।
 
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পলাশ থানা পুলিশ। অটো ভাড়ার জেরেই এ হতাহতের ঘটনা বলে জানা গেছে। এছাড়া কোন বিরোধ নেই। তদন্তের পর এ হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।


এই বিভাগের আরও