মানুষের কল্যাণ করাই দায়িত্ব: বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী

২৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৯:০৭ এএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৯ এএম


মানুষের কল্যাণ করাই দায়িত্ব: বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক মানুষের কল্যাণ করাই দায়িত্ব’ এ কথা মনে ধারণ করে কাজ করতে নবীন বিসিএস কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে ১০২তম ও ১০৩তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। মাঠপর্যায়ে থেকে তাদের জনগণের সেবা করতে হবে।’ “তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতির পিতা যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, উচ্চ শিক্ষা প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বাইরে পাঠিয়েছিলেন, এই সরকারের আমলে আমরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রত্যকের বেতন ভাতা বাড়িয়েছি। পৃথিবীর কোন দেশের সরকার এত বেতন বাড়িয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।’’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রশিক্ষণের জন্য নিয়েছি বিভিন্ন ব্যবস্থা। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে দিচ্ছি জনপ্রশাসন পদক। আমাদের সময়ে যত প্রমোশন এত প্রমোশন মনে হয় আর কখনো হয়নি।’ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শহরের কিছু মানুষ ধনী থেকে আরও ধনী হোক তা আমরা চাই না। ৯৬ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে দারিদ্র ভয়াবহ পর্যায়ে ছিলো। আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কিন্তু ২০০৯-এ এসে দেখি দেশ উন্নয়নের দিকে না গিয়ে অারও পিছিয়ে গেছে।’ এসময় বিরোধীদলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বৈদেশিক সহায়তা পায়না এই যাদের মানসিকতা তারা দেশের উন্নয়ন করবে কিভাবে। দেশ আমাদের, মাটি আমাদের। এই মানুষদের কল্যাণ করাই আমাদের দায়িত্ব।’ ‘২০০৫ সালে ৪১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে ছিল আজ তা ২২ শতাংশ হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বেড়েছে রিজার্ভ। ’ এসময় পদ্মা সেতু্ নির্মাণের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিজেদের টাকায় এই পদ্মাসেতু নির্মাণের কারণে বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তির অনেক উন্নয়ন ঘটেছে।’ এসময় সরকারি কর্মকর্তাদের আত্মবিশ্বাসি হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে পারি। তাহলে দেশকে কেন গড়তে পারবো না। কেন অন্যের কাছে হাত পাততে হবে। আমরা পারবো। আর এই আত্মবিশ্বাসটাই সরকারি কর্মকর্তাদের থাকতে হবে।’ ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব। এখন প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সবাই ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে।’  প্রতিবেশি দেশের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রেখে চলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের সেবক। তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমরা ভারতে মিয়ানমারের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছি। । আবার আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছি আমরা জয়ীও হয়ছি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেছি। ’ ‘এই দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে এটাই আমাদের লক্ষ্য। এই সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে চায় যেখানে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।


এই বিভাগের আরও