জেনে নিন যে আট ভুলে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে

১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৯:২৬ এএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৭ পিএম


জেনে নিন যে আট ভুলে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক মুখমণ্ডল যত্নের জন্য পরিষ্কারভাবে ধোয়া খুব জরুরি। তবে বেশির ভাগ লোকই একে তাদের সৌন্দর্যের রুটিনের একটি ক্ষুদ্র অংশ মনে করে। দুর্ভাগ্যবশত অনেকেই ভুলভাবে মুখ ধুয়ে থাকেন। ভুলভাবে মুখ ধোয়া ত্বকের সমস্যা তৈরি করে, যেমন—শুষ্কতা, প্রদাহ, তেলতেলে ভাব, ব্রণ, বলিরেখা এসব সমস্যা কিন্তু ভুলভাবে মুখ ধোয়ার কারণেই হয়। সঠিকভাবে মুখ ধোয়া ত্বককে ভালো রাখে; তারুণ্যদীপ্ত রাখে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমিডি জানিয়েছে মুখ ধোয়ার আটটি ভুলের কথা। দেখুন, আপনিও করছেন কি না সেগুলো! ১. বেশি মুখ ধোয়া মুখ না ধুলে ছত্রাক তৈরি হয় এবং এগুলো বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা তৈরি করে। তাই অনেকেই বারবার সাবান নিয়ে মুখ ধোয়। তবে বেশি বেশি মুখ ধোয়া ত্বকে অস্বস্তি বা প্রদাহ তৈরি করতে পারে। এতে তেল নিঃসরণ বেড়ে যায়। দিনে দুবার সঠিক নিয়মে মুখ ধোয়া প্রয়োজন। প্রথমে সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং দ্বিতীয়বার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা বাইরে থেকে ঘরে ফিরে। এর মাঝখানে যদি মুখ পরিষ্কারের প্রয়োজন হয়, তবে সাবান-পানি দিয়ে নয়, মুখ পরিষ্কারের ভেজা টিস্যু ব্যবহার করুন। তবে এটিও বেশি করবেন না। ২. গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়া শীতের সময় গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়া খুব আরামের। তবে এটি কিন্তু মুখকে শুষ্ক করে দেয়। আবার খুব ঠান্ডা পানি দিয়েও মুখ ধোয়া ঠিক নয়। মুখ ধুতে হালকা গরম পানি বা ঘরের তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে ভালো রাখতে কাজে দেয়। পরিশোধিত পানি দিয়েই মুখ ধোয়া উচিত। এমন পানি ব্যবহার করা ঠিক নয়, যেটি আপনি খেতে পারবেন না। ৩. মেকআপ না তোলা মুখ ধোয়া মেকআপ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তবে মুখ ধোয়ার আগে মেকআপ তোলা জরুরি। এই মেকআপ তুলতে আপনি ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। মেকআপ তুলতে ঘরে তৈরি মেকআপ রিমুভারও ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেল, জলপাইয়ের তেল, দুধ হলো প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার। একটি তুলার টুকরোকে এগুলোর যেকোনো একটির মধ্যে ভেজান এবং মুখ আলতো করে পরিষ্কার করুন। চোখের মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে বাড়তি মনোযোগ দিন। এর পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। মেকআপ না ধুয়ে কিছুতেই ঘুমিয়ে পড়বেন না। এতে ত্বকে বেশ ক্ষতি হয়। ৪. ভুল ক্লিনজারের ব্যবহার অনেকে মুখ ধোয়ার জন্য ফেসিয়াল ক্লিনজার ব্যবহার করেন। তবে অনেকেই সঠিক ক্লিনজারটি বেছে নিতে পারেন না। ত্বকের ভিন্নতায় ক্লিনজারও কিন্তু ভিন্ন। আপনার ত্বকের সঙ্গে যে ক্লিনজার যাবে, সেটিই ব্যবহার করুন। একটি ভালো ক্লিনজার হয়তো মুখের ময়লা সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করবে না। তবে এটি তেলকে খুব বেশি বের হতে দেবে না। এটি ত্বককে আর্দ্র ও স্বাস্থ্যকর রাখতে কাজ করবে। আর ক্লিনজার কেনার সময় নন-সোপ ক্লিনজার ব্যবহার করুন। ৫. ভালোভাবে মুখ না ধোয়া মুখ পরিষ্কারের জন্য ক্লিনজারের ব্যবহার ভালো। তবে ক্লিনজার যদি ভালো করে পরিষ্কার করা না হয়, এটি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। ক্লিনজার মুখে থেকে গেলে এটি ময়লাকে আরো বেশি টেনে আনে। ক্লিনজার ব্যবহারের পর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। ৬. ময়লা হাত দিয়ে মুখ ধোয়া অনেকেই মুখ ধুতে শুরু করেন হাত না ধুয়েই। ত্বক ভালো রাখতে হলে অবশ্যই বিষয়টি বন্ধ করা উচিত। আপনি যখন ময়লা হাত দিয়ে মুখ ধুতে থাকেন, হাতের ময়লা মুখের ত্বকে চলে যায়। এটিও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই মুখ ধোয়ার আগে ভালো মানের সাবান দিয়ে আগে হাত ধুয়ে নিন। ৭. তোয়ালে দিয়ে মুখ ঘষা ধোয়ার পর অনেকেই খুব জোরে জোরে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে থাকেন। এতে অস্বস্তি এবং শুষ্কতা বেড়ে যায়। অনেক সময় দ্রুত চামড়া ঝুলে পড়ার সমস্যাও হয়। তোয়ালে ব্যবহারের আগে নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুখ মুছে নিন। মুখ মোছার জন্য নরম পরিষ্কার কাপড় আলাদা করে রাখুন। আর মুখ মোছার জন্য অবশ্যই পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করুন। ৮. ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা অনেকেই মুখ ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন না। তবে মুখ ধোয়ার পরপরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা ওয়াটার বেজ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। আর যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা অয়েলি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করবে। তাই মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই এই কাজ করুন।


এই বিভাগের আরও