রাষ্ট্রপতি : বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা
১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৭:৫৩ এএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২২ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। তবে তা একদিনে অর্জিত হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁরই আহ্বানে ও নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব আসুন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখি, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেই সমৃদ্ধ আগামীর পথে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি আজ বিনম্রচিত্তে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অপরিসীম ত্যাগ ও আপসহীন নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বিজয়ের এই মহান দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন।’ তিনি বলেন, ‘জাতি তাঁদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।’
আবদুল হামিদ বাণীতে উল্লেখ করেন, “১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে করণীয় বিষয়ে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ গত ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-এ অন্তর্ভুক্ত করে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ জন্য আমরা গর্বিত।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে সামরিক স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের উত্থান ঘটে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে প্রত্যাবর্তন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন শুরু করেন। দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রাম এবং নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্জিত হচ্ছে নানা সাফল্য।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। অচিরেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে স্থাপিত হবে। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ হবে এক নতুন দিগন্ত। আর্থসামাজিক নানা খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ বিশ্বদরবারে ‘রোল-মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই যে অর্জন, এর পেছনে রয়েছে এদেশের সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অসাধারণ মেধা-মনন, অক্লান্ত পরিশ্রম আর অদম্য মনোবল। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তারাও আমাদের উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার। সরকার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সাফল্যের সাথে অর্জন করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।’
‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারোর সাথে বৈরিতা নয়,’ জাতির পিতা ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘চলতি বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতিত ও বিতাড়িত লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে নিতান্ত মানবিক কারণে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে বিশ্বদরবারে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আশ্রয়হীন এত মানুষের ভার বহন করা বাংলাদেশের জন্য খুবই কঠিন। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী।’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। তবে তা একদিনে অর্জিত হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁরই আহ্বানে ও নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব আসুন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখি, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেই সমৃদ্ধ আগামীর পথে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি আজ বিনম্রচিত্তে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অপরিসীম ত্যাগ ও আপসহীন নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বিজয়ের এই মহান দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন।’ তিনি বলেন, ‘জাতি তাঁদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।’
আবদুল হামিদ বাণীতে উল্লেখ করেন, “১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে করণীয় বিষয়ে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ গত ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-এ অন্তর্ভুক্ত করে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ জন্য আমরা গর্বিত।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে সামরিক স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের উত্থান ঘটে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে প্রত্যাবর্তন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন শুরু করেন। দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রাম এবং নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্জিত হচ্ছে নানা সাফল্য।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। অচিরেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে স্থাপিত হবে। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ হবে এক নতুন দিগন্ত। আর্থসামাজিক নানা খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ বিশ্বদরবারে ‘রোল-মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই যে অর্জন, এর পেছনে রয়েছে এদেশের সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অসাধারণ মেধা-মনন, অক্লান্ত পরিশ্রম আর অদম্য মনোবল। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তারাও আমাদের উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার। সরকার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সাফল্যের সাথে অর্জন করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।’
‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারোর সাথে বৈরিতা নয়,’ জাতির পিতা ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘চলতি বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতিত ও বিতাড়িত লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে নিতান্ত মানবিক কারণে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে বিশ্বদরবারে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আশ্রয়হীন এত মানুষের ভার বহন করা বাংলাদেশের জন্য খুবই কঠিন। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী।’বিভাগ : নরসিংদীর খবর
- শিবপুরে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গণ মোনাজাত
- শিবপুরে জামায়াতের গণমিছিল অনুষ্ঠিত
- বেগম জিয়া অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি : ড. আব্দুল মঈন খান
- পলাশে জামায়াতের সভায় হামলার প্রতিবাদে ৫ দলের প্রার্থীর যৌথ প্রতিবাদ
- শেখেরচরে জামায়াতের নির্বাচনী সভায় হামলা, অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে
- রায়পুরায় জুয়েলারী ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
- পলাশে গুলি ও ইয়াবাসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
- শিবপুরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৫ শতাধিক হাফেজ নিয়ে দোয়া
- ধানের শীষে ভোট দেয়ার কারণে মহিলাদের ধর্ষণ করেছিল যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা :খায়রুল কবির খোকন
- রায়পুরায় অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়া কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
- শিবপুরে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গণ মোনাজাত
- শিবপুরে জামায়াতের গণমিছিল অনুষ্ঠিত
- বেগম জিয়া অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি : ড. আব্দুল মঈন খান
- পলাশে জামায়াতের সভায় হামলার প্রতিবাদে ৫ দলের প্রার্থীর যৌথ প্রতিবাদ
- শেখেরচরে জামায়াতের নির্বাচনী সভায় হামলা, অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে
- রায়পুরায় জুয়েলারী ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
- পলাশে গুলি ও ইয়াবাসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
- শিবপুরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৫ শতাধিক হাফেজ নিয়ে দোয়া
- ধানের শীষে ভোট দেয়ার কারণে মহিলাদের ধর্ষণ করেছিল যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা :খায়রুল কবির খোকন
- রায়পুরায় অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়া কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার