রায়পুরায় সড়ক সংস্কারে দুর্নীতি

০১ মার্চ ২০১৮, ০৫:২০ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ এএম


রায়পুরায় সড়ক সংস্কারে দুর্নীতি
নরসিংদী প্রতিনিধি [caption id="attachment_1748" align="alignnone" width="1024"] দুর্নীতি[/caption] রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ-করিমপুর ঘাট- বাঘাইকান্দি সড়ক সংস্কারে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতায় ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩২৩১ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ পায় খান এ্যান্ড সন্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে কাজটি পরিচালনা করছে প্রত্যাশা এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদার। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ-করিমপুর ঘাট-বাঘাইকান্দি সড়কটি সংস্কার কাজ পায় খান এ্যান্ড সন্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা এন্টারপ্রাইজের মালিক খাইরুল আলম। সড়কটি সংস্কারে যে নির্দেশনা ছিল তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসি। এছাড়া কাজের আগে নিয়ম অনুযায়ী সিটিজেন চার্টার লাগানোর কথা থাকলেও সড়কের কোথাও কোন সিটিজেন চার্টার টানানো হয়নি। অপরদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে সড়কটির সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারি সকল প্রকার যান বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বালুয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়, বালুয়াকান্দি সামসুল উলুম মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও বটতলী, রাজনাগর, বাঘাইকান্দি, কাট্টাখালি, আগানগর, বালুয়াকান্দি, খলাপাড়া, নলবাটা, করিমগঞ্জ গ্রামের লোকজনের চলাচলে এ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, কাজের মান ঠিক রাখতে উন্নয়ন কাজে কোন আপোষ করা যাবে না। যারাই উন্নয়ন কাজের পিছনে থাকুক না কেন, কাজের মান বজায় রাখতে কারো কাছে মাথা না করতে নির্দেশ দেন জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘উন্নয়নের কাজে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। কাজ সঠিকভাবে সিডিউল মোতাবেকই করতে হবে।’ এ ব্যাপারে প্রত্যাশা এন্টারপ্রাইজের মালিক খাইরুল আলম বলেন, সিডিউল অনুযায়ী কাজ করছি। আর ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে রোলার না পাওয়ায় কাজ আপাতত বন্ধ রাখতে হয়েছে। রায়পুরা উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি। অনিয়ম থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।