স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন খালেদা জিয়ার সাজা হলে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১০:২০ এএম | আপডেট: ০৪ মে ২০২৪, ০৩:১২ এএম


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন খালেদা জিয়ার সাজা হলে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হলে কারাবিধি অনুযায়ী সাজা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তবে খালেদা জিয়াকে কোথায় রাখা হবে, সেটা কারা কর্তৃপক্ষই ঠিক করবে বলে জানান মন্ত্রী। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা কঠোর হাতে প্রতিহত করবে বলেও জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। [caption id="attachment_1650" align="alignnone" width="1024"]
ছবি: সংগৃহীত[/caption] কাল বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়া। অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে টানটান উত্তেজনা চলছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের আগে গণগ্রেপ্তার, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানবাহন তল্লাশিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। এসব প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল রায়ের দিন ধার্য আছে। কী রায় হবে, সেটা আদালতই জানেন। তবে রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, জানমালের ক্ষতি না হয়, এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।’ সাজা হলে খালেদা জিয়াকে কী মর্যাদায় কোথায় রাখা হবে, তা জানতে চান সাংবাদিকরা। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সাজা হলে জেল কোড বা কারাবিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’ ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো জেলখানার কয়েকটি কক্ষের সংস্কার করা হচ্ছে বলে খবর পেয়েছেন জানিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সেটি খালেদা জিয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে কি না? জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘কোথায় রাখা হবে বা কী করা হবে, তা কারা কর্তৃপক্ষই ভালো জানে। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’ সারা দেশে ব্যাপক ধরপাকড়ের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তাঁরা সেই রুটিন কাজই করছেন। এ ছাড়া পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলার পর ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না তা জানতে চাওয়া হয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘র‍্যাব বা পুলিশ সোহেলকে গ্রেপ্তার করেনি। তাঁকে গ্রেপ্তারের কোনো তথ্যও আমাদের কাছে নেই। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি হয়তো আত্মগোপনেও থাকতে পারেন।’ দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে এতিম তহবিল নামে নতুন একটি হিসাব খোলা হয় এবং বিদেশ থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা আসে ওই হিসাবে। পরে ওই তহবিল থেকে দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে স্থানান্তর করা হয়। অভিযোগ আনা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেখান থেকে আসামিরা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। মামলা দায়েরের ১৩ মাস পর ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদ।


এই বিভাগের আরও