নরসিংদীতে ৪৭ হাজার ৪০০ জন পেলেন করোনার টিকা

০৭ আগস্ট ২০২১, ০৫:০৬ পিএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ এএম


নরসিংদীতে ৪৭ হাজার ৪০০ জন পেলেন করোনার টিকা
শিবপুুরে গণটিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জহিরুল হক ভুইয়া মোহন

নিজস্ব প্রতিবেদক:  

নরসিংদীতে সৃশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে করোনার গণটিকা কার্যক্রমের প্রথম দিন। শনিবার সকাল ৯টা থেকে টানা বিকাল ৩টা পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলা নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব ও রায়পুরার সব ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় টিকা দেয়া হয়। ৭২টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভার ৯৩টি কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ২০০ জন করে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। মোট ৪৭ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা দেয়া হয়। তবে সব কেন্দ্রেই বরাদ্দের তুলনায় টিকা নিতে আগ্রহী লোকের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।   

শনিবার সকালে শিবপুরের পুটিয়া ও আইয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুটি কেন্দ্রে সুশৃঙ্খলভাবে গণটিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভুইয়া মোহন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভুইয়া রাখিল, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারহানা আহমেদ।

টিকাদান কর্মসূচীর শিবপুর উপজেলা সমন্বয়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান জানান, সকাল ১০টা থেকে একযোগে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৯ কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়ে টানা বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলে। এসময় প্রতি ইউনিয়নে ৬ শ জন করে মোট ৫ হাজার ৪শ জনকে টিকা দেয়া হয়।

বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুল হাসান মাহমুদ জানান, সকাল ১০ টা থেকে একযোগে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের ৮ কেন্দ্রে সৃশৃঙ্খলভাবে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়ে টানা বিকাল ৩ টা পর্যন্ত চলে। এইসময় প্রতি ইউনিয়নে ৬শ জন করে মোট ৪ হাজার ৮শ জনকে টিকা দেওয়া হয়।

রায়পুরা উপজেলা সমন্বয়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো আজগর হোসেন জানান, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত একটানা ২৪টি ইউনিয়নে ২৪টি কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রত্যকটি ইউনিয়নের ৩টি বুথের প্রতিটিতে ৯ জন স্বেচ্ছাসেবক, ৬ জন টিকাদাতার মাধ্যমে টিকাদান করা হয়। এসময় প্রতি ইউনিয়নে ৬ শ জন করে মোট ১৪ হাজার ৪শ জনকে টিকা দেয়া হয়।

মনোহরদীতে প্রতিটি ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। অধিকাংশ ইউনিয়নেই গাদাগাদি করে টিকা নিতে আসেন লোকজন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জানান, মনোহরদী উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে সকাল ১০টা থেকে একযোগে টিকাদান শুরু হয়। প্রতিটি ইউনিয়নে ৬০০ জনকে টিকা প্রদান করা হয়। পৌরসভায় দেয়া হয় ২০০ জনকে।

পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান আকন্দ জানান, সকাল ১০টা থেকে উপজেলার ৪ ইউনিয়নে ৬০০ করে ও পৌরসভায় ৬০০জনকে টিকা দেয়া হয়।

সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু কাউছার সুমন জানান, সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৬০০ জন করে ও দুটি পৌরসভায় ২১টি ওয়ার্ডে ২০০ করে টিকা দেয়া হয়।

সিভিল সার্জন ডা. মো. নূরুল ইসলাম জানান, জেলার মোট ৭২টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভার ৯৩টি কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ২০০ জন করে মোট ৪৭ হাজার ৪০০ সিনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এসময় বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। তবে আগ্রহ নিয়ে উপস্থিত হলেও যারা টিকা পাননি তাদের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে টিকা দেয়া হবে।