মনোহরদীতে প্রতিবেশির বাড়ির পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর বিবস্ত্র মরদেহ

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০০ পিএম | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৩ পিএম


মনোহরদীতে প্রতিবেশির বাড়ির পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর বিবস্ত্র মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর মনোহরদীতে রাসেল আহাম্মেদ (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের বীর আহমদপুর গ্রামের মফিজ মুহুরীর বাড়ির পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত রাসেল আহাম্মেদ মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের বীর আহমদপুর গ্রামের মৃত মাইনুদ্দিনের ছেলে। তিনি চালাকচর বাজারের মোবাইল ফোনের ব্যবসায়ী ছিলেন।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে বীর আহমদপুর গ্রামের মফিজ মুহুরীর বাড়ির পেছনে রাসেলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মনোহরদী থানার পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। তবে কী কারণে, কীভাবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। মরদেহটির সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে রাসেল আহাম্মেদ বাড়ি থেকে বের হন। পরে রাত ১০টার দিকে তার স্ত্রীর সাথে মুঠোফোনে একবার কথা হয়। রাত ১২টা পেরিয়ে গেলেও রাসেল বাড়িতে না ফেরায় কয়েক জায়গায় খোঁজ করেন পরিবারের লোকজন। পরে সকাল ৭টার দিকে প্রতিবেশী মফিজ মুহুরীর বাড়ির পিছনে বিবস্ত্র মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পাশের বাড়ির লোকজন।

এদিকে রাত থেকেই মফিজ মুহুরীর মেয়ে রিতা ও তার স্বামী ট্রাকচালক মাসুম মিয়া পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহত রাসেলের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, আমার সন্দেহ হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কী কারণে আমার স্বামীকে তারা হত্যা করল বুঝতে পারছি না। আমাদের সঙ্গে কারও কোন শত্রুতা নেই।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে রাসেল নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করার জন্য  সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত ছাড়া কোন কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যা করে মরদেহ ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।



এই বিভাগের আরও