নানা জটিলতায় যথাসময়ে চালু হয়নি ই-পাসপোর্ট
০১ জুলাই ২০১৯, ০৩:৪৪ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম
টাইমস ডেস্ক:
আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে বাংলাদেশে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট চালুর উদ্যোগ নেয়া হলেও নানা জটিলতায় যথা সময়ে তা হয়ে উঠছে না। ই-পাসপোর্টের ডাটা থাকবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ডাটা বেইসেও। আকাশ, স্থল ও জল বন্দরে ই-গেট স্থাপনের কথা বলা হলেও তা এখনো হয়ে ওঠেনি। নির্ধারণ হয়নি পাসপোর্ট ফি। এমনকি কিভাবে এর ব্যবহার করা হবে তার প্রশিক্ষণও নেই ইমেগ্রেশন পুলিশের। এজন্য চূড়ান্ত হয়নি কোনো নীতিমালা।
আজ সোমবার (১ জুলাই) ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন হবে এমন ঢাকঢোল পেটানো হলেও নানা অজুহাতে তা ঝুলেই আছে। কবে নাগাদ এটা চালু হবে তা সুনির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ আজহারুল হক বলেছেন, ই-পাসপোর্ট ১ জুলাই থেকে চালু হচ্ছে না। তবে জুলাই মাসের মধ্যে চালু করার লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সোহায়েল হোসেন খান গতকাল রবিবার (৩০ জুন) এ নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ সুপার (ইমিগ্রেশন) শাহারিয়ার আলম বলেছেন, ইউরোপ আমেরিকার নাগরিকদের জন্য ই-গেট রয়েছে। বিমানবন্দরে নতুন করে দুটি গেট বসানোর কাজ চলছে। তবে কালো তালিকাভুক্ত ব্যক্তি, জাল পাসপোর্ট ও ভিসাধারী ব্যক্তি এবং মানবপাচার ঠেকাতে সেখানে করণীয় বা কোনো নির্দেশনা আসেনি। তৈরি হয়নি নীতিমালা। অল্পসময়ের মধ্যে এর কার্যক্রম চালু হবে বলে তিনি আশা পোষণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১৭ সালে চার হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। জার্মানির ভেরিভোজ নামে এক সরকারি প্রতিষ্ঠান গত বছরের জুলাই থেকে এর কাজ করছে। দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও দুটি স্থলবন্দরে স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বা ই-গেট স্থাপনের কথা থাকলেও তা হয়ে ওঠেনি। এসব বন্দরে ৫০টি ই-গেট দিয়ে ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্টধারীদের সহজেই ইমিগ্রেশন পার হওয়ার কথা। ৫০টি ই-গেটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বসানো হবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ভিআইপি, ভিভিআইপি যাত্রী ছাড়াও শুধু ২৪টি গেট সাধারণ যাত্রীদের ব্যবহারের জন্যই স্থাপন করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, গত ৩১ মার্চ মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেনাপোল ও বাংলাবান্দা স্থলবন্দরে ৫০টি ই-গেট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জার্মানির প্রতিষ্ঠান থেকে ই-গেট আনা হচ্ছে। শিগগিরই এগুলো দেশে পৌঁছবে বলে জানা গেছে।
সূত্র আরো জানায়, ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে জার্মানির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী পাসপোর্টের ইলেক্ট্রনিক চিপে ১০ আঙুলের ছাপ থাকার কথা। তবে চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জার্মান কোম্পানি মাত্র দুটি আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করতে চাচ্ছে। ‘মাত্র দুই আঙুলের ছাপে ভবিষ্যতে জালিয়াতি হতে পারে’, তাই এ প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এ নিয়ে জার্মান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক ও চিঠি চালাচালি হয়েছে। বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি। এটাও ই-পাসপোর্টের বিলম্ব^ হওয়ার অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে।
এদিকে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে থাকলেও এখনো এর ফি চ‚ড়ান্ত করা হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে ই-পাসপোর্টের ফি-র প্রস্তাব গেছে। তারা ফি নির্ধারণ করবে। উদ্বোধনের পর সেট-আপের জন্য আরো কিছুদিন সময় লাগবে। পুরোপুরি প্রস্তুত হলে দিনে ২৫ হাজার পাসপোর্ট প্রিন্ট করা সম্ভব হবে। ই-পাসপোর্টের যুগে নাগরিকরা চাইলে এমআরপিও করতে পারবেন, সে ব্যবস্থাও থাকবে। ন্যূনতম ছয় হাজার টাকায় একজন নাগরিক ২১ কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাবেন। এ ছাড়াও সাত দিনের এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য ১২ হাজার এবং একদিনের সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য ১৫ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ১১৯টি দেশের নাগরিক ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করছে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে ১২০তম দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম লেখা হবে। ই-পাসপোর্ট ই-গেটের একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখার সঙ্গে সঙ্গে বাহকের পরিচয় নিশ্চিত করবে। নির্দিষ্ট নিয়মে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই ভ্রমণকারী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। ই-গেটে কোনো তথ্যবিভ্রাট ঘটলেই লালবাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সঠিকভাবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারে সহযোগিতা করবেন। অত্যাধুনিক এই ই-পাসপোর্ট একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি এমবেডেড ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর (মোবাইলের মেমোরি কার্ডের মতো) চিপ থাকবে। এই মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি) তথ্য সংরক্ষণ করা হবে, যাতে পাসপোর্টধারীর পরিচয়ের সত্যতা থাকে। ই-পাসপোর্টে মোট ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডাটাবেজে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
- পথচারিদের পাশে পানি ও স্যালাইন নিয়ে একদল যুবক
- পলাশে কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
- সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি-মনা, সম্পাদক-রনি
- শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত
- উপজেলা নির্বাচনে যে কেউ প্রভাব বিস্তার করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে: নরসিংদীতে ইসি মোঃ আলমগীর
- নিলক্ষায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০
- রায়পুরায় বজ্রপাতে একজন নিহত
- উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদী ও পলাশ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন যারা
- আমদিয়ায় ইউপি মেম্বারকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
- পথচারিদের পাশে পানি ও স্যালাইন নিয়ে একদল যুবক
- পলাশে কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
- সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি-মনা, সম্পাদক-রনি
- শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত
- উপজেলা নির্বাচনে যে কেউ প্রভাব বিস্তার করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে: নরসিংদীতে ইসি মোঃ আলমগীর
- নিলক্ষায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০
- রায়পুরায় বজ্রপাতে একজন নিহত
- উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদী ও পলাশ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন যারা
- আমদিয়ায় ইউপি মেম্বারকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা