রাজস্ব বাড়াতে জেলা-উপজেলায় রাজস্ব কমিটিসহ ৭৭ প্রস্তাব জেলা প্রশাসকদের

১৬ জুলাই ২০১৯, ০৩:০৪ পিএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম


রাজস্ব বাড়াতে জেলা-উপজেলায় রাজস্ব কমিটিসহ ৭৭ প্রস্তাব জেলা প্রশাসকদের

টাইমস ডেস্ক:

সরকারের রাজস্ব বাড়াতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে রাজস্ব কমিটি চান জেলা প্রশাসকরা (ডিসিরা)। তারা মনে করেন, এটি করলে দেশে রাজস্ব আদায়ে আমূল পরিবর্তন আসবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ সহজীকরণ, সরকারি অফিসে বিদ্যুৎ বিল আদায়ে বিশেষ ক্ষমতা, ডিসিদের জন্য বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ভর্তিতে তাদের সন্তানদের জন্য কোটা প্রবর্তন, শিক্ষা টিভি চালু, প্রাথমিক শিক্ষক বদলিতে স্বচ্ছতা আনতে সারা বছর বদলির নিয়ম চালুকরণ, যৌন হয়রানি বন্ধে সচেতনতামূলক কার্যকম আরও জোরদার, অনলাইন মিডিয়াকে নিবন্ধনের আওতায় আনাসহ ৭৭টি প্রস্তাব করেছেন জেলা প্রশাসকরা। 

সোমবার (১৫ জুলাই) ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ৬টি মন্ত্রণালয়ের ১৪টি বিভাগের সঙ্গে বৈঠককালে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন তারা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আওতাধীন সংস্থার সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসকরা। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে দ্বিতীয় দিনের কার্যাবলি শেষ করেন তারা। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে চলছে ৫ দিনব্যাপী এ সম্মেলন। 

গতকাল সোমবার সকালে প্রথম অধিবেশনে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৭টি বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসকরা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান দু'জনই অনুপস্থিত থাকায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান দুই মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেখানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ডিসিরা সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়াতে জেলা পর্যায়ে কমিটি করার কথা বলেন। এছাড়া নারীদের ক্ষুদ্রঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতা, সরকারি ব্যাংকগুলো ঋণ আদায়ের স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাধাসহ ১০টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। 

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। এসময় তিনি বলেন, সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়াতে জেলা পর্যায়ে কমিটি করার কথা বলেছেন ডিসিরা। এছাড়া কৃষি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে সম্মেলনে।

এসব প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ড. মশিউর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করার যে প্রস্তাব ডিসিরা করেছেন তা ভালো উদ্যোগ। বিষয়টি রাজস্ব বোর্ড বিবেচনায় নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ঋণের বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি পলিসি নির্ধারণের বিষয়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আয়কর অফিস জেলা এমনকি উপজেলা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার সরকারের একটি পরিকল্পনা আছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও জনবল নিয়োগ দুটিই প্রক্রিয়াধীন। এর সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা পর্যায়ে আয়কর বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশেষ কমিটি করা যেতে পারে। তিনি সে বিষয়ে মত দিয়েছেন। নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ পেতে অনেক বাধা সৃষ্টি হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আরও বলেন, গ্রাম্য নারীদের স্বামীর পরিচয়, ছেলের পরিচয় ও বাবার পরিচয় দেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ঘাটতি থাকে। সেটি একটি সমস্যা। তাছাড়া তাদের বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেট লাগে। এ সার্টিফিকেট সংগ্রহের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই সরকারের এ মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়। এ কারণে শর্ত ও নিয়মাবলি সহজ করলে সরকারের এ উদ্যোগ শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারবেন। 

দ্বিতীয় অধিবেশন:

এরপর দ্বিতীয় অধিবেশনে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিসিরা। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বৈঠকে ডিসিদের কাছ থেকে ৯টি প্রস্তাব আসে। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল আদায়ে নানা জটিলতা, বিদ্যুৎ সংযোগে হয়রানি কমানো, শিল্পাঞ্চল ছাড়া বসতবাড়ীতে গ্যাস সংযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত নানা জটিলতা।

এসব প্রস্তাব আমলে নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল ছাড়া কোথাও গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ার সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে। বৈঠক শেষে নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী, যত্রতত্র গড়ে ওঠা শিল্পগুলোকে পর্যায়ক্রমে পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল ছাড়া যত্রতত্র গ্যাস, বিদ্যুৎ এর সংযোগ দিতে নানা সমস্যা হয়। তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিদ্যুৎ বিল ১৪ কোটি টাকাসহ গ্যাস ও জ্বালানি বাবদ পাওনা ৮-৯ হাজার কোটি টাকা। এ টাকা আদায়ে ডিসিরা সচেষ্ট হবেন। যেখানে ব্যর্থ হবেন সেখানকার সংযোগ কেটে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহে ডিসিরা সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন তিনি।

তৃতীয় অধিবেশন:

চা বিরতির পর তৃতীয় অধিবেশনে বসেন শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুটি মন্ত্রণালয়ের ৩টি বিভাগের জন্য ডিসিরা প্রায় ৪৫টি প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা দুটি বিভাগের জন্য প্রায় ৩০টি প্রস্তাব ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণায়ের পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব আকরাম আল হাসান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ডিসিরা শহরের ভালো শিক্ষকদের অতিথি শিক্ষক হিসেবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো, জেলা প্রশাসকদের জন্য একটি বিশেষাধিত বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিং বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ, স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে সবার জন্য সমান কোটা প্রবর্তন, শিক্ষা টিভি চালুসহ ৩০টি প্রস্তাব তুলে ধরেন। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতার জন্য আলাদা প্রশ্ন ব্যাংক, বছরব্যাপী শিক্ষক বদলির বিষয়টি প্রস্তাব করেন তারা। 

এসব প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভালো শিক্ষকদের পাঠদানের উপকারিতা যাতে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পেতে পারেন, সেজন্য একটি টেলিভিশন চ্যানেল খুলে তাদের ক্লাস সম্প্রচারের ভাবনা রয়েছে সরকারের। মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় বা বেশকিছু জায়গায় অত্যন্ত ভালো কিছু বিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলোর অনেক সুনাম রয়েছে, সেখানকার শিক্ষকদের বিষয়ে অনেক সুনাম রয়েছে। ডিসিদের একটা প্রস্তাব আছে তাদের অতিথি শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে।

তারা যেটি (ডিসিদের) বলেছেন, খুব কম খরচে টেলিভিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের খুব ভালো ভালো শিক্ষকদের ভালো ভালো ক্লাসগুলোকে কিন্তু তারা একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে একই সঙ্গে সব স্কুলে দেখাতে পারেন। সেজন্য একটা শিক্ষা টিভি জাতীয় কোনো কিছু চিন্তা করা যায় এবং সেটি করা গেলে হয়তো যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষক আছেন, তারা অন্যদের শেখানোর পদ্ধতি থেকে উপকৃত হবেন এবং একই সঙ্গে শিক্ষার্থীও যে যেখানেই থাকুক, একই মানের শিক্ষকদের শিক্ষাদান, পাঠদানে তারা উপকৃত হবেন।

শিক্ষা টিভি করবেন কিনা- জানতে চাইলে ডা. দীপু মনি বলেন, এ বিষয়ে এখানে কথা হয়েছে। এ রকম একটা কিছু হতে পারে। সেটি নিয়ে তারা চিন্তা-ভাবনা করবেন এবং আগামীদিনে কী পরিকল্পনা করা যায় সেটি দেখবেন। একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ডিসিদের প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাব আসলে কী করা যায়, কীভাবে করা যায় সেটা ভেবে দেখবেন। সব জায়গায় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কতগুলো দক্ষতা অর্জন করা জরুরি মত দিয়ে তিনি বলেন, বাংলা ও ইংরেজি পড়তে, লিখতে, বলতে ও শুনতে পারছে কি-না; গণিত, বিজ্ঞান, আইসিটি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সাধারণ যে দক্ষতা অর্জন করা দরকার সেটুকু তারা যেন শিখতে পারে। মূল্যবোধগুলো যেন প্রাথমিক থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোথিত করে দিতে পারেন, যেন তারা ভালো মানুষ হতে পারে, সুনাগরিক হতে পারে- এই বিষয়গুলো নিয়ে তারা কথা বলেছেন। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা, নোট বা গাইড বই যেন একেবারেই না থাকে, খেলার মাঠ যেন নষ্ট না হয়।

শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির বিষয় সজাগ দৃষ্টি রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র জনসচেতনতা সৃষ্টি করা, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর করে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় সংগীত গাওয়া, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করাসহ যত বিষয় শিক্ষার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত, যেখানে ডিসিদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে, সেসব বিষয়ে তারা নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারি চাকরিজীবীরা তাদের সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে যে কোটার কথা বলেছেন সে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে দীপু মনি বলেন, একটি নিয়ম আছে- সরকারি কর্মকর্তারা যদি কোথাও বদলি হয়ে যান তাদের সন্তানরা সেখানকার সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে, ফলে কোটা সংরক্ষণের কোনো বিষয় নেই। ডিসিরা বেশকিছু লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন, সময়ের অভাবে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেননি। সেগুলো দেখে তার মধ্যে যেগুলোতে কাজ করা দরকার বলে মনে করবেন সেগুলো তারা করবেন। 

চতুর্থ অধিবেশন:

চতুর্থ অধিবেশনে সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একসঙ্গে বৈঠকে বসেন ডিসিরা। সেখানে দুই মন্ত্রণালয়ের জন্য ৭টি প্রস্তাব তুলে ধরেন তারা। তার মধ্যে ছিল অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াকে কি গণমাধ্যমের জন্য যে আইন রয়েছে তার আওতায় আনা যায় কি-না? টিভি ক্যাবল নেটওয়ার্ক লাইসেন্স অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বাড়ানো, প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন এবং ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জে ১০ কিলোহাউস ক্ষমতাসম্পন্ন এফএম বেতার কেন্দ্র স্থাপন। ডিসিদের এসব প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিবন্ধনের জন্য সরকারের কাছে ৮ হাজারের বেশি অনলাইন নিউজ পোর্টালের আবেদন জমা পড়েছে। সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পারবে- এমন নিউজ পোর্টালগুলোকেই সরকারের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে। তিনি বলেন, ডিসি সম্মেলনে নিউ মিডিয়া এবং এর চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গ এসেছে, অনলাইন মিডিয়ার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে অনলাইনগুলোকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছেন। এ পর্যন্ত আট হাজারের বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে। ৮ হাজার আবেদন জমা পড়লেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন তোলেন তথ্যমন্ত্রী। তারা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলো আসলে প্রয়োজন আছে, যেগুলো অনলাইন হিসেবে সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পারবে বা করার সক্ষমতা রাখে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে দরখাস্ত করা হয়নি সেগুলোকে তারা রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনবেন। নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে কত দিন লাগবে- এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ৮ হাজার তো, যাচাই-বাছাই করতে একটু সময় লাগবে। যত দ্রম্নত সম্ভব, যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসেবে কাজ করে তাদের সহসাই এ রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনবেন। যেগুলোর ব্যাপারে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে সেগুলোকে তো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। 

এছাড়া দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা চিহ্নিত করাসহ ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরেন ডিসিরা। এসব প্রস্তাবের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এরপর বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আওতাধীন সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডিসিরা। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান তারা।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও