নরসিংদীতে বিষাক্ত স্পিরিট পানে ১ জনের মৃত্যু, অসুস্থ ৪

০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৫২ পিএম | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৭ পিএম


নরসিংদীতে বিষাক্ত স্পিরিট পানে ১ জনের মৃত্যু, অসুস্থ ৪
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীতে হোমিওপ্যাথির দোকান থেকে বিষাক্ত স্পিরিট খেয়ে ১ জনের মৃত্যু ও আহত হয়েছে আরও ৪ জন। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নরসিংদীর শিবপুর থানার নোয়াদিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে ও আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নরসিংদী সদর হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শামীম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ব্যাক্তি হলো ওই এলাকার স্বর্গীয় প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মণ এর ছেলে রমন চন্দ্র বর্মণ (৩২)। আহতরা হলো, দিরেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের ছেলে দিনা চন্দ্র বর্মণ, সুন্নাই বর্মণের ছেলে রিপন চন্দ্র বর্মণ, মানিক মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম, মনা বর্মণের ছেলে সুবোধ বর্মণ।

জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে নোয়াদিয়া কালিখোলা বাজারে ওহাব মিয়ার হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে অ্যালকোহলের এ্যম্পুল কিনে পান করে রমন বর্মণসহ ৫ জন। ওই অ্যালকোহল এ্যম্পুল পানের পর থেকেই তারা অসুস্থতাবোধ করতে থাকে। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার আশংকাজনক অবস্থায় রমন চন্দ্র কে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পথিমধ্যেই মারা যায় রমন বর্মণ। এই খবর পেয়ে অসুস্থ অন্য ৪ জনকে সদর হাসাপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, বিষাক্ত স্পিরিট খেয়েই রমন বর্মণের মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি। মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারন জানতে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগ পেলে হোমিওপ্যাথির ওষুধের দোকানদারের বিরুদ্ধ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

ওই এলাকার বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, হোমিওপ্যাথি ওষুধ বিক্রেতা ওহাব মিয়ার নিকট থেকে কোরবানী ঈদের সময় স্পিরিট ক্রয় করে পান করে হরে কৃষ্ণ চন্দ্র শীল ও রাসেল মিয়ার মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনার পরও বন্ধ হয়নি ওহাব মিয়ার বিষাক্ত স্পিরিট বেচা-কেনা। জরুরী ভিত্তিতে হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে অবাধে স্পিরিট কেনা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল।



এই বিভাগের আরও