শিবপুরে পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় হাত হারালো এক গৃহিণী

১৯ জুন ২০২০, ০৪:৪৭ পিএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম


শিবপুরে পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় হাত হারালো এক গৃহিণী

শেখ মানিক:

নরসিংদীর শিবপুরে মোস্তফা কামাল নামের এক পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে হ্যাপী আক্তার (৩০) নামে এক গৃহিণীর জীবন বাঁচাতে হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। হ্যাপী আক্তার শিবপুর উপজেলার বৈলাব গ্রামের আলম মিয়ার স্ত্রী। ওই চিকিৎসক শিবপুর বাজারের তানিয়া মেডিকেল হল নামের একটি দোকানের মালিক।  

হ্যাপীর স্বামী আলম মিয়া জানান, গত ১২ জুন শুক্রবার আমার বাড়ির আঙ্গিনায় কাদামাটিতে পিচ্ছিল খেয়ে পড়ে হাতে ভেঙ্গে যায় হ্যাপীর। পরে  চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে হাড়ভাঙ্গা ডাক্তারের সাথে  আলোচনা করে সবকিছু ঠিক করা হয়। এসময় শিবপুর থেকে পল্লীচিকিৎসক মোস্তফার পরিচিত এক লোক আমাকে ফোন করে বলেন শিবপুরে অভিজ্ঞ  হাড়ভাঙ্গার ডাক্তার দ্বারা কম খরচে উন্নত মানের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, আপনার স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসেন শিবপুরে। রোগী নিয়ে গেলে পল্লী চিকিৎসক মোস্তফা নিজে হ্যাপীর চিকিৎসা করেন। চিকিৎসার দুইদিন পরে অবস্থার উন্নতি না হয়ে অবনতি হলে হ্যাপীকে অন্য ডাক্তারের কাছে প্রেরণ করেন পল্লী চিকিৎসক মোস্তফা কামাল। পরে জানতে পারলাম আমার স্ত্রীর হাতে পচন ধরেছে।

এ অবস্থায় হ্যাপীকে নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করি। তার জীবন বাঁচাতে অবশেষ বাম হাতের কনুই এর উপর থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে আমার স্ত্রী নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পল্লীচিকিৎসক মোস্তফার কামালের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, হ্যাপির চিকিৎসা আমি করিনি, করেছে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার। তবে ওই ডাক্তারের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে তা জানাতে পারেননি তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাকের পলিপাসের চিকিৎসার অপারেশন পল্লী চিকিৎসক মোস্তফা নিজে ঔষুধের দোকানের ভিতরে নিজেই করে থাকেন।



এই বিভাগের আরও