শিবপুরে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ কর্তনের অভিযোগ

২৮ মে ২০২০, ১০:১৩ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৬ পিএম


শিবপুরে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ কর্তনের অভিযোগ

শেখ মানিক:

নরসিংদী শিবপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে পাল্টা মামলা চলছে। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় জমি দখলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার ফলজ গাছ  কর্তনের অভিযোগ উঠেছে একটি পক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকালে উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গোবিন্দপুর গ্রামের পুফুন শেখ, কালাই শেখ, ইসমাইল শেখ ও মাকসুদ আলী তাদের মোট ৯৩৪ শতাংশ জমি ভাগবাটোয়ারা করে ভোগ দখল করে আসছেন তাদের অলি ওয়ারিশগণ। জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে অলি ওয়ারিশগণের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে ২০১৭ সালে জমির অংশিদারদের মধ্যে থেকে বাসেদ গং (৪২জন) বাদী হয়ে আঃ ছাত্তারসহ ১৭ জনের নামে নরসিংদী আদালতে মামলা করেন। সেই মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় জমি দখলে নেওয়ার জন্য মামলার বিবাদীগণ বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার ফলজ গাছ কর্তন করে  বিরোধপূর্ণ জমিটি দখলের চেষ্টা  করেন।

রমিজ উদ্দিন নামে একজন জানান, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা করে দীর্ঘদিন যাবত আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। ৫৩০ শতাংশ জমি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় আব্দুস সাত্তার হাজী গংদের সাথে। পরে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদুল বাছেদসহ ৪২ জন বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু আজ সকালে ওইসব বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শতাধিক লোকজন নিয়ে এসে বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির সবজিসহ ফল ফলাদি আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেয়ারা, লটকন, লেবু গাছসহ কয়েক হাজার গাছ কর্তন করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে কাজল মাস্টার নামে স্থানীয় একজন জানান, নালিশা ভূমিতে আব্দুল সাত্তার হাজিকে দীর্ঘদিন যাবৎ বেদখল করে রেখেছেন আবদুল বাসেদ গং। এখানে তফকা সূত্রে কিছু সম্পত্তি পাবেন বাসেদ গং, তবে পুরো সম্পত্তি নয়। আজকে কে বা কারা গাছ কর্তন করেছে এ বিষয়ে জানা নাই। আমি অনেক বার চেষ্টা করছি উভয় পরিবারের মাঝে মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য, মীমাংসা করতে ব্যর্থ হয়েছি।

ঘটনার পরে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।



এই বিভাগের আরও