পলাশে ছাত্রলীগ সভাপতিকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

১৪ জুলাই ২০২০, ০৪:৪৩ পিএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ পিএম


পলাশে ছাত্রলীগ সভাপতিকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজন

আল-আমিন মিয়া:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজনকে পরিকল্পিতভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. রানা মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন আহত রাজন। সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে পরিকল্পিতভাবে একজন পেশাদার সন্ত্রাসীকে দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়।
ছুরিকাঘাতে আহত রাজনের বুকের বাম পাশে দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানান নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক।


আহত শেখ মো. রাজন জানান, এক দেড় মাস আগে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রানাসহ অন্যান্যরা কর্তৃক চরসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন রতনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় চেয়ারম্যানকে বাঁচাতে গিয়ে রানা মিয়ার সাথে আমার হাতাহাতি হয়। তারপর থেকেই রানা আমাকে মারার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনায় লিপ্ত হয়। সোমবার দুপুরে আমি পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়ন থেকে মাছের খামারের জন্য খাবার আনতে যাই। এসময় পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা চরসিন্দুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে একজন পেশাদার সন্ত্রাসী মো. আলীকে দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে।

আমি কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসী আলী ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। পরে আমার আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে আলী পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে।
রাজন আরও জানান, ওই সময় গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আলী স্বীকার করে যে রানা মিয়ার নির্দেশেই আমাকে হত্যা করার জন্য এ হামলা করেছে সে।

এ বিষয়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রানা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজনের ওপর হামলাকারী আলী একজন পেশাদার সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। রাজনের ওপর হামলার ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকাবাসী আলীকে মারধোর করতে থাকে। খবর পেয়ে পলাশ থানার টহলরত পুলিশ আলীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে আলীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। যেহেতু শিবপুর থানাধীন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেহেতু ওই থানায়ই রাজনের বাবা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।



এই বিভাগের আরও