দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যার হুমকি এমপি বুবলির

২৫ নভেম্বর ২০১৯, ০১:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম


দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যার হুমকি এমপি বুবলির

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত বিএ পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করায় নরসিংদীর সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি তামান্না নুসরাত বুবলীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা আওয়ামীলীগ। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বুবলী। পাঠকদের তা হুবহু তুলে ধরা হলো।

তিনি লিখেছেন- প্রিয় সাংবাদিক ভাইগণ, আমার জানা মতে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কারো সাথেই কোনদিন খারাপ আচরণ বা সামাজিকতার যে আন্তরিকতা সেটা কমতি রাখি নি কোনদিন,যখন নরসিংদী ছিলাম মেয়র লোকমান হোসেনের সহধর্মিণী হিসেবে আপনারা ওনার মারা যাবার পর আমার অকালে বিধবা হওয়া লড়াই সংগ্রামী জীবন ছেলে মেয়ে ছোট তাদের নিয়ে একা লড়াই দেখে আফসোস সান্তনা সবই দিতেন, সবাই হায় আফসোস করতো কিন্তু ধারে ভারে কেউ ছিলো না আমার। যুদ্ধ জয় কি জিনিস জানতাম না তবে ছুটতে হবে উপায় নাই বাজার করা থেকে শুরু করে ছেলে মেয়ে নিয়ে কতটা লড়েছি এখনো তারা ছোট নাই বা বললাম, কেন যেনো এখন সব চাইলেই লিখতে পারি না কারন একটা সংকচের জায়গাতে অবস্থান করছি।

আমি সংসদ সদস্য হবার পর আলহামদুলিল্লাহ্‌ স্যালারি দিয়ে ছেলে মেয়েকে ভালো স্কুলে পরাই যাবতীয় নিজ খরচ বহন করি, সামান্য সঞ্চয় করছি এখান থেকেই যাতে করে ৫ বছর পর এটা আমাদের কাজে লাগে, আপনাদের অনেক লেখা আমার চোখে পড়ে যারা আফসোস করতেন আজ তারা টেনে হিচঁড়ে সংসদ থেকে নামাতে মরিয়া হয়ে লিখছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে চাওয়া পাওয়ার হিসেব রাখিনি নরসিংদীবাসিকে ভালোবেসেছি কিছু অপশক্তি পেছনে লেগেছে, কতকিছু ঘটনা দেশে ঘটে এত লেখালেখি কেউ করে না আপনারা এটা নিয়ে এমন ভাবে লিখছেন যেনো আমার জন্য ৫০ জীবন শেষ হয়ে গেছে লুটপাট হয়েছে সর্বনাশ হয়েছে অনেকের।

আমার যদি কিছু হয় দুই বাচ্চা নিয়ে সুইসাইড করি খুশি হবেন তো আপনারা ?

ঠিক আছে আপনাদের খুশি আমার খুশি, ভালো থাকুক

আমার সাংবাদিক ভাইগণেরা, আল্লাহ্‌ ভালো রাখুক আপনাদের।

আমার এ জীবনে পাওয়ার চাইতে মনের দুংখে মরেছি অনেকবার, বারবার মরার চাইতে একবারে মরে গেলেই ভালো মনে করি।



এই বিভাগের আরও