৯৯৯ সব গণপরিবহনে বাধ্যতামূলক হচ্ছে

১৩ মে ২০১৮, ১০:৩৫ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ এএম


৯৯৯ সব গণপরিবহনে  বাধ্যতামূলক হচ্ছে
যৌন হয়রানি ঠেকাতে এবং যাত্রী নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য গণপরিবহনে জরুরি সেবার জাতীয় হেল্পডেস্ক নম্বর ৯৯৯ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বিআরটিএ। এছাড়া প্রতিটি বাসের ভেতরে ওই বাসের নম্বর দৃশ্যমাণ রাখতে হবে। এ বিষয়ে বিআরটিএকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। গতবছর ২৫ অগাস্ট চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর এক তরুণীকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুরে লাশ ফেলে যায় চালক ও তার সহকারীরা। গত ২১ এপ্রিল উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বাসের ভেতর যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। পরে তুরাগ পরিবহনের বাসের চালক, হেলপারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ৫ মে চট্টগ্রামে বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বাসে চালক ও সহকারী যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই বাসের চালক এবং তার সহকারীকে ধরে পুলিশে দেয় শিক্ষার্থীরা। ১০ মে ঢাকার শ্যামলীতে আরেকটি বাসে যৌন হয়রানির শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা চালকের সহকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। [caption id="attachment_2449" align="alignnone" width="1200"]
ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] পুলিশের টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি (টিঅ্যান্ডআইএম) বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোর্শেদুল আনোয়ার খান গণপরিবহনে হেল্পডেস্ক নম্বর ৯৯৯ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জনগণের সহায়তার জন্যই এ নম্বর চালু করা হয়েছে। “বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক যে কোনো প্রান্ত থেকে ৯৯৯ এ ফোন করলে সাহায্য পাবেন। বিশেষ করে জরুরি পুলিশি সহায়তা, অগ্নিনির্বাপণ ও অ্যাম্বুলেন্স- এই তিনটা সহায়তার জন্যই তো এই নম্বর চালু হয়েছে।   “এই নম্বরটা যদি কেউ নাগরিকদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন, তাহলে তো ভালোই। সেখান থেকে কল এলে আমরা সহায়তা করবই। নাগরিকদের সহায়তা করার জন্যই তো এ প্রতিষ্ঠান। আমরা বিআরটিএর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমরাও চাই, এ বিষয়ে আরও ব্যাপক প্রচার হোক। বাংলাদেশের সবাই এই নম্বর জানুক, উপকৃত হোক। এখানেই এ উদ্যোগের স্বার্থকতা।”   ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পুলিশ এই কল সেন্টার সেবা চালু করে। সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে এ কল সেন্টার। ৯৯৯ নম্বরে কল করলে কোনো টাকা খরচ হয় না। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ পরীক্ষামূলক কাঠামোর মাধ্যমে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দিতে ২০১৬ সালের ১১ অক্টোবর পাইলট কর্মসূচির আওতায় ৯৯৯ সেবা চালু করে। জাতীয় হেল্পডেস্ক নামে এর যাত্রা শুরু হলেও পরে নাম হয় ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস’। বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্লাস ওয়ানের সেবাগুলোর সমন্বয়ে ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।


এই বিভাগের আরও