নরসিংদীর পলাশে গৃহবধূকে ঝলসে দিল স্বামী

০৭ এপ্রিল ২০১৮, ০৭:৩০ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ এএম


নরসিংদীর পলাশে গৃহবধূকে ঝলসে দিল স্বামী
অনলাইন ডেস্ক [caption id="attachment_2209" align="alignnone" width="320"] ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] নেশার টাকা না দেওয়ায় নরসিংদীর পলাশে জেসমিন বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূকে গরম তেলে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এমনকি ঝলসে দেওয়ার পর তাঁর চিকিত্সার ব্যবস্থা না করে স্বামী ও শাশুড়ি বাড়িতে আটকে রাখে বলেও অভিযোগ ওই গৃহবধূর।উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের দড়িচর পাড়া গ্রামে গত শনিবার এ ঘটনা ঘটলেও চিকিত্সা শেষে জেসমিন গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পলাশ থানায় মামলা করেছেন। এরপর পুলিশ অভিযুক্ত শাশুড়ি মিনারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে অভিযুক্ত স্বামী মো. মামুন মিয়া পলাতক। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে পলাশের গজারিয়া ইউনিয়নের দড়িচর পাড়া গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে মামুনের সঙ্গে নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে জেসমিনের বিয়ে হয়। মামুন পেশায় অটোরিকশাচালক। আর জেসমিন থার্মেক্স গ্রুপের আদুরী গার্মেন্টের কর্মী। [caption id="attachment_2205" align="alignnone" width="640"] ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] জেসমিন মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিয়ের পর স্বামী নেশার টাকার জন্য প্রায়ই তাঁর ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে। একপর্যায়ে গত শনিবার রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় চুলায় থাকা রান্না করার গরম তেল জেসমিনের শরীরে ঢেলে দেয় মামুন। এতে তাঁর মুখমণ্ডলসহ শরীরের অনেকাংশ ঝলসে যায়।নির্যাতিত গৃহবধূ জেসমিন বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সে (স্বামী মামুন) আমাকে বাপের বাড়ি থেকে নেশার টাকা এনে দেওয়ার জন্য প্রায় সময় মারধর করত। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অনেকবার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিয়েছি। আমাদের চার বছরের একটি মেয়ে আছে। মেয়েটির মুখের দিকে চেয়ে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে সংসার করে আসছি। ওই রাতে আবারও টাকা চাইলে আমি দিতে পারব না জানালে সে চুলায় রান্না করার গরম তেল আমার শরীরে ঢেলে দেয়। এ সময় আমার চিত্কারে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে। কিন্তু আমার স্বামী ও শাশুড়ি তখন আমাকে হাসপাতালে না নিয়ে ঘরে বন্দি করে রাখে। ’ জেসমিনের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে পরের দিন সকালে মেয়ের স্বামীর বাড়ি গিয়ে দেখি জেসমিন অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তাকে ঢাকায় হাসপাতালে নিয়ে যাই। ’ তিনি আরো বলেন, ‘মামুন প্রায় সময় আমার মেয়েকে মারধর করে টাকার জন্য আমার কাছে পাঠাত। মেয়ের ওপর নির্যাতন বন্ধের জন্য এ পর্যন্ত ধারদেনা করে তাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে অনেকবার স্থানীয়ভাবে দেনদরবারও করা হয়। কিন্তু তারা আমার মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করেনি। ’ পলাশ থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, নির্যাতিত গৃহবধূ থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ তাঁর শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে। আর স্বামী মামুনকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে।