নরসিংদীতে শ্রমিককে কুপিয়ে জখম করেছে যুবলীগ নেতা!

০২ এপ্রিল ২০১৮, ০৯:৩২ এএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২২ পিএম


নরসিংদীতে শ্রমিককে কুপিয়ে জখম করেছে যুবলীগ নেতা!
অনলাইন ডেস্ক [caption id="attachment_2116" align="alignnone" width="728"]
ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] নরসিংদীর পলাশে হানিফ নামে এক শ্রমিককে কুপিয়ে জখম করেছে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মিঠু মিয়া ও তার সহযোগীরা। গত শুক্রবার রাতে গজারিয়া ইউনিয়নের তালতলি বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। হানিফ বর্তমানে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত হানিফ গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে। তিনি পলাশ বাগপাড়া এলাকার জনতা জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। চিকিৎসাধীন হানিফ বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আমি কাজ শেষে বন্ধুদের সাথে তালতলি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে যুবলীগ নেতা মিঠু মিয়া ও তার আট-দশজন ‘সহযোগী’ আমাদের পথরোধ করে। পরে মিঠু আমাকে চাপাতি দিয়ে হাত ও ঘাড়ে কুপিয়ে আহত করে এরং বাজারের পাশে একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে। রাত ১১টার দিকে পথচারী ও বন্ধুরা আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে থেকে ফিরে এ ঘটনার ব্যাপারে মামলা করবেন বলে জানান হানিফ। গতকাল শনিবার নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক হারুনুর রশিদ জানান, হানিফ বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। তার শরীরে ১৯টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। দু-তিনদিন পর হারিফ বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। [caption id="attachment_2171" align="alignnone" width="615"] ছবিঃসংগৃহীত[/caption] গজারিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ইফতি জানান, ‘শুক্রবার রাতে মিঠু ও তার দলবল হানিফ নামে এক শ্রমিককে কুপিয়ে জখম করার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। দেখি হানিফের ঘাড় ও হাত থেকে রক্ত ঝড়ছে। পরে আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে মিঠু আমাকেও নিষেধ করে, বাঁধা দেয়।’ গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদুল হক জিল্লু জানান, মিঠু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা মিঠু বলেন, এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘুরাফেরার কারণে তাদের পথরোধ করি। পরে হানিফ নামে এক যুবক প্রথমে আমার শরীরে আঘাত করে। এরপর আমার সাথে থাকা লোকজন তাকে ধরে উত্তম-মধ্যম দিয়ে স্থানীয় বাজারে ধরে নিয়ে যায়। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, হামলার ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।