নরসিংদীর মনোহরদীতে বেহাল দশা,বৃষ্টি এলেই থাকার বিছানায় পানি

০২ এপ্রিল ২০১৮, ০৩:৩৪ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ এএম


নরসিংদীর মনোহরদীতে বেহাল দশা,বৃষ্টি এলেই থাকার বিছানায় পানি
অনলাইন ডেস্ক [caption id="attachment_2119" align="alignnone" width="728"]
ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] নরসিংদী জেলা মনোহরদী উপজেলা খিদীরপুর ইউনিয়নের রামপুর আবাসন প্রকল্পের বেহাল দশা, বৃষ্টি এলেই থাকার বিছানায় পরে পানি।২১/০৫/০৭ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল উদ্বোধন করেন এই আবাসন প্রকল্পটি।৯৯ শতাংশ জায়গা নিয়ে গড়ে উঠে এই রামপুর আবাসন প্রকল্প।তার পর থেকে আর তেমন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এই প্রকল্পে।এই আবাসন প্রকল্পে ৪০ টি থাকার রোম রয়েছে।৯৯ শতাংশ জায়গায় বর্তমান ৩৫ পরিবার বসবাস করেন বলে জানিয়েছন রামপুর আবাসন প্রকল্পের সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন।তিনি আরো বলেন,বৃষ্টি এলে ঘরে পানি পরে তাই এই খানে মেরামতের অভাবে কেউ থাকতে চায়না।এই আবাসন প্রকল্পের সভাপতি আঃসাত্তার তিনিও এখানে থাকেন না।কারন হলো উনার ঘরের দাইর নিচে বেঙ্গে পরে গিয়েছে।এবং জলিল মিয়ার ঘরের দাইরও বেঙ্গে পরে গিয়েছে ৫ ফুট নিচে।এখানে ৪০ টি রোম আছে কিন্তু থাকার মতো তেমন কোন ব্যবস্থা নেই।১৫ দিন হয়েছে খিদীরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে ৮ বান টিন এসেছে মেরামতের কারার জন্য।আমাদের এই আবাসন প্রকল্পে ৮ বান টিন এনে রাখছে কিন্তু এখন ও মেরামত করার খবর নাই। আবাসন প্রকল্পের খোরশেদ,হাবু,খালেক,সালেহা,জোবেদা,রানী বেগম,নাসির উদ্দিন,সোহাগ,ফরিদা বেগম,মদিনা বেগম,হযরত আলী,হামিদ,মোমেনা বেগমসহ বসবাসকারীরা বলেন, ঝড় বৃষ্টি এলে আমরাও আমারদের ছেলে মেয়েরা ঘোমাতে পারেনা পড়তে পারেনা।আতংক্কে আমাদের রাতকাটে।১৫ দিন হইছে ৮ বান টিন আইছে লাগানোর খবার নাই। [caption id="attachment_2160" align="alignnone" width="1280"] ছবিঃসংগৃহীত[/caption] আমরা ঠিক মতো গোসল করিতে পারিনা পায়খানা করিতে পারিনা।কারন হলো ৩৫ পরিবারের মাঝে ১ টি কল, ২ রেমের ১ টি টয়লেট।২ কল এখন নষ্ট, ৪ টা টয়লেট সেই গুলোও খারাপ হয়ে পরে আছে।গোসল আর টয়লেট নিয়ে প্রায় সময় ঝগড়া হয় আমাদের মধ্যে।হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেটি চাল সেই গুলো ও আমার পাইনা।খিদীরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমাদের দেয়না।পুরাতন টিন সেই গুলি মরিচা দরে নষ্ট হয়ে গেছে।আঃখালেক মিয়া(৭১)বলেন, ৫০ টাকা দিয়েছি ১০ টাকা কেজি চালের কার্ডের জন্য কিন্তু জামিল চেয়ারম্যান আমাকে চাল দেয়নি। [caption id="attachment_2161" align="alignnone" width="576"] ছবিঃসংগৃহীত[/caption] এম এখানকার আরো বয়স্ক মহিলারা বলেন,আমরা যদি মাহবুবুর রহমান জামিল চেয়ারম্যানকে টাকা দেই তাহলে বয়স্ক বাতা,বিদবা বাতা কার্ড দেবে আর না হয় দেবেনা।আমরা গরীব তাই আমাদের কেউ খবর নেয়না।খিদীরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জামিল বলেন,খিদীরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তার কাছে ১০ বান টিন ও ২৫ হাজার টাকা এসেছে রামপুর আবাসন প্রকল্প মেরামত করার জন্য।এসেছে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে।এটা সম্পূর্ণ আমার তদারককারী কারনে।আমার সেবা সব সময় অব্যহত আছে।এই আবাসন প্রকল্পের তথ্য জানার জন্য খিদীরপুর ভূমি অফিসে গেলে ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা তিনি তেমন কোন তথ্য দিতে পারেনি।তিনি বলেন,ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ স্যার এখন বাহিরে আছে।সরকারের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি আমরা এখানকরা রামপুর আবাসন প্রকল্পের অতিদরিদ্র মানুষ গুলি ।