নরসিংদীতে গৃহকর্মীকে গরম পানিতে ঝলসে দিয়েছেন সরকারি কলেজের প্রভাষক

০৭ মার্চ ২০১৮, ০৬:০৬ এএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ পিএম


নরসিংদীতে গৃহকর্মীকে গরম পানিতে ঝলসে দিয়েছেন সরকারি কলেজের প্রভাষক
নিজেস্ব প্রতিবেদক [caption id="attachment_1904" align="alignnone" width="540"] ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] মেয়েটি হাসপাতালে শুয়ে আছে, সারা শরীর ব্যান্ডেজে আচ্ছন্ন, বয়স মাত্র ১১ বছর। সে ব্যাংকার সোহেলের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো। সোহেল নরসিংদী সদর থানায় জনতা ব্যাংকে কাজ করে। তার স্ত্রী মাহমুদা ইয়াছমিন ওরফে নাজমা নরসিংদী সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তিনি ১১ বছরের মণিকে গরম পানিতে ঝলসে দিয়েছে। মণির বাবার কাছ থেকে জেনেছি, জানুয়ারির প্রথম দিকে শিক্ষিকা মাহমুদা ইয়াছমিন তার শিশু সন্তানকে দেখাশুনার জন্য মনিকে গৃহকর্মী হিসেবে তার বাসায় নিয়ে আসে। ১৭ জানুয়ারি মাহমুদা মনিকে পানি গরম করতে বলেন। পানি গরম করতে দেরী হওয়ায় রেগে গিয়ে সেই গরম পানি মণির উপরই ঢেলে দেয় মাহমুদা। এতে মণির শরীরের অর্ধেকের বেশী ঝলসে যায়। খবর পেয়ে মনির বাবা আবদুল আজিজ ঘটনাস্থল থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করেন। মনি বর্তমানে বার্ণ ইউনিটের চতুর্থ তলায় শিশু ওয়ার্ডের সাইড-১ বেডে চিকিৎসাধীন। ওই শিক্ষিকা ও তার লোকজনদের ভয়ভীতির কারণে ঘটনার প্রায় পৌণে এক মাস পর মাহমুদা ও তার স্বামী হাসান সারোয়ার সোহেলকে আসামী করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা করেন মনির বাবা। এ ঘটনা শুরু থেকেই মণির বাবাকে ভয়ভীতি দেখানো হয় যে মামলা করলে মেরে ফেলবে। তাই মামলা করতে দেরি হয়েছে মণির বাবার। এ অন্যায়ের সাথে জড়িত সবগুলো জানোয়ারকে বিচারের আওতায় আনা খুবই জরুরী। এদের বিচার না হলে এমন জানোয়ারের সংখ্যা দিনদিন বাড়তেই থাকবে। তাই আমরা ঠিক করেছি, যতভাবে সম্ভব মণির বাবাকে সাহায্য করবো। Zakia আপার ল'ইয়ার বন্ধু মামলার দায়িত্ব নিয়েছে। সার্বক্ষণিক মণির বাবার সাথে যোগাযোগ রাখছে রফিক ভাই। ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনেছি মণির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। জীবনের এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠবে মণি। সমাজ থেকে পাষবিকতা নির্মূল হোক। মণিদের জন্য নিরাপদ সমাজ গড়ে উঠুক। মণি সুস্থ হয়ে উঠুক।