নরসিংদীর ভেলানগরে আবারও ধর্ষণ

০৭ মার্চ ২০১৮, ০২:২০ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম


নরসিংদীর ভেলানগরে আবারও ধর্ষণ
নিজেস্ব প্রতিবেদক [caption id="attachment_1889" align="alignnone" width="297"] ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] গৃহপরিচারিকার কাজে নিয়ে শিশুকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি নরসিংদী শহরের ভেলানগর এলাকায়। ভুক্তভোগী শিশুর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়। আজ মঙ্গলবার শিশুটিকে বাঞ্ছারামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শিশুটির বাবা বলেন, তাঁর পাশের গ্রামের ছালাম মিয়া (৫০) নরসিংদীর ভেলানগরে বাস করেন। ১২-১৩ দিন আগে ছালাম তাঁর বাসায় কাজ করাতে শিশুটিকে নিয়ে যান। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শিশুটি তাঁর বাবাকে ফোন করে জানান, তার সঙ্গে ছালাম মিয়া খারাপ কাজ (ধর্ষণ) করেছেন। শিশুটির বাবা বলেন, ‘মাইয়া আমারে ফোন কইরা কইছে বাসায় তার লগে খারাপ কাজ করছে। শুক্রবার আমি যেই লোকের মাধ্যমে মাইয়ারে দিছিলাম, সেই লোককে লইয়া মেয়েকে বাড়িতে নিয়া আইছি। মাইয়াডা অসুস্থ থাকনে ডাক্তার দেখাইছি কিন্তু বালা (ভালো) অইতাছে না। কাইল (গতকাল সোমবার) দুপুরে আমার স্ত্রীর লগে মাইয়াডায় কইছে ছালাম মিয়া বাসায় নেওয়নের পর থেইক্কা তাঁর সাথে অকাজ (ধর্ষণ) করছে। আর মাইয়ারে কইছে এই কথা মা-বাবারেও যেন না জানায়। এই ঘটনা জানাইলে মাইরা ফালানোর কথাও নাকি কইছে ছালাম মিয়া।’ শিশুটির বাবা আরও বলেন, ‘দুপুরে (আজ) আমি এই কথা শুইনা ছালাম মিয়ার কাছে ফোন দিয়া জিগাইছি, আমার মাইয়াতো আপনার নাতির সমান বয়স, আপনে আমার মাইডারে আকাজ (ধর্ষণ) করছেন কেন। জবাবে ছালাম মিয়া ধর্ষণের কথা স্বীকার করছে আর কইছে আমার ভুল অইয়া গেছে। তোমার মেয়েরে নরসিংদী লইয়া আস চিকিৎসা করাইয়া দিমু। আমি তারে কইছি আমি আইনের আশ্রয়ে যামু। আমার ছোট মাইয়া মরণের অবস্থা হইয়া গেছে, আমি মামলা দিমু ছালামের নামে।’ বাঞ্ছারামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফাহরিন রুবাইয়া হোসেন বলেন, মেয়েটির বয়স ১০ থেকে ১১ বছর হবে। মনে হচ্ছে মেয়েটিকে অনেকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। ওকে এখানে চিকিৎসা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাঞ্ছারামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাব্বির রহমান বলেন, ‘শিশুটির সঙ্গে অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। আমি নিজে হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি। সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করিয়েছি। মেয়েটির পিতা হতদরিদ্র। চিকিৎসার জন্য কয়েকজন মিলে তিন হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানকার থানায় মামলা হলে আমরা সহায়তা করব।’ অভিযুক্ত ছালাম মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমবার তিনি ফোন ধরেননি। পরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।