নরসিংদীর নতুন আকর্ষণ এখন কবুতর

০৩ মার্চ ২০১৮, ১০:৩০ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ এএম


নরসিংদীর নতুন আকর্ষণ এখন কবুতর
অনলাইন ডেস্ক নরসিংদী জেলার মনোহরদী,রায়পুরা, শিবপুর ও পলাশ,বেলাব উপজেলায় কবুতরের খামার করে লাভবান ব্যবসায়িকরা, অনেকে শখ করে অনেকেই কবুতর পালেন। কিন্তু এই কবুতরই হতে পারে আয়ের উৎস। কবুতর বিক্রি করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ হতে পারে অনেক বেকার যুবকের। পৃথিবীতে প্রায় ১২০ জাতের কবুতর পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ২০ প্রজাতির কবুতর রয়েছে। এদেশের জলবায়ুু এবং বিস্তীর্ণ শষ্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। একটি পরিবারের পুষ্টি সরবরাহ, সমৃদ্ধি এবং বিকল্প আয়ের উৎস হতে পারে। কবুতর পালনের সুবিধা প্রাপ্ত বয়স্ক কবুতরের দৈহিক ওজন (জাতভেদে) ২৫০-৮০০ গ্রাম। পূর্ণবয়স্ক হতে ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগে। কবুতর প্রতিবার এক জোড়া ডিম দেয়। প্রথম ডিম দেয়ার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ডিম পাড়ে। বাচ্চা উৎপাদনের বয়সকাল ৫ থেকে ৬ বছর। ১৭ থেকে ১৯ দিন বাচ্চা ফোটার জন্য ডিমে তা দেয় এই পাখিটি। ডিম থেকে ছানা বের হওয়ার পর ৪ থেকে ৫ দিনে বাচ্চা কবুতরের চোখ ফোটে। ১০ থেকে ১২ দিনে পালক গজায়। প্রায় একমাসের মধ্যে বাজারজাতকরণের বয়সে রূপান্তরিত হয়। কবুতর সাধারণত ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচে। কবুতর পালনের সুবিধা কম বিনিয়োগে কবুতর পালন অত্যন্ত সহজ এবং এদের প্রজননকাল সংক্ষিপ্ত। রোগ বালাই কম। মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের উৎস। কবুতরের মল জৈবসার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ভালো বাসস্থান আপনার কবুতর পালনের জন্য খুবই দরকারি। ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত সূর্যের আলো এবং বাতাস চলাচল আছে এরকম উঁচু এবং বালুময় মাটিতে কবুতরের ঘর করতে হয়। যা খামারির আবাসস্থল থেকে ২০০ থেকে ৩০০ ফুট দূরে এবং দক্ষিণমুখী হওয়া উচিত। মাটি থেকে ঘরের উচ্চতা ২০ থেকে ২৪ ফুট এবং খাচার উচ্চতা ৪ থেকে ১০ ফুট হওয়া ভালো। একটি খামারের জন্য ৩০ থেকে ৪০ জোড়া কবুতর আদর্শ। এই আদর্শ কবুতর পালন করে লাভ হচ্ছে নরসিংদীর বেকার যুবকরা ও ব্যবসায়িকরা।