৪৬ বছরেও যাকে থামাতে পারেনি তিনি হলেন নরসিংদীর সলেক ডাক্তার

০৩ মার্চ ২০১৮, ১০:২০ এএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম


৪৬ বছরেও যাকে থামাতে পারেনি তিনি হলেন নরসিংদীর সলেক ডাক্তার
নরসিংদী প্রতিনিধি [caption id="attachment_1786" align="alignnone" width="800"] ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] জীবন এক অভিজ্ঞতা। আমাদের অভিজ্ঞতাই আমাদের তৈরি করে। যেমন মো. সালাহ উদ্দিনকে জীবন তৈরি করেছে সলেক ডাক্তার হিসেবে। নামের সাথে ডাক্তার থাকলেও চিকিৎসাবিদ্যায় শাস্ত্রীয় কোন শিক্ষা নেই তার। দেখে শিখেছেন, ঠেকে শিখেছেন। বাবা মারা গিয়েছিল বিনা চিকিৎসায়। অজ পাড়াগাঁয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল খুবই অপ্রতুল। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো ছিল না। তখন মো. সালাহ উদ্দিন ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র। বাবা মারা গেলে সংসারের ভার নিজের কাধে তুলে নিলেন। নেমে পড়লেন পথে, পথই নিয়ে গেল নতুন ঠিকানায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লাকী ফার্মেসিতে। ডা. রফিকুল ইসলামের সহকারী হিসেবে কাজ করতে থাকেন। পাঁচ বছর তার অধীনে কাজ করে ১৯৭৮ সালে ফিরে আসেন নিজের গ্রাম নরসিংদীর মাঝের চরে। তারপর কেটে গেছে চার দশক। এখন মাঝের চরের মানুষের আপন মানুষ এই ছলেক ডাক্তার। ছলেক ডাক্তারের বাবা মারা গিয়েছিলেন বিনা চিকিৎসায়। সেই বেদনাই তাকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে উদ্বুদ্ধ করে। শুধু মাঝের চর নয় মানুষের প্রয়োজনে, মানুষের সেবায় রায়পুরাসহ আশেপাশের অনেক গ্রামের মানুষের ভরসা ছলেক ডাক্তার। প্রচন্ড রোদ হোক কিংবা হাড়কাঁপানো শীত অথবা বর্ষার হাঁটুজল পানি, ছলেক ডাক্তার রোগীর ডাকে হাজির সবসময়। তিনি যে গরীবের ডাক্তার। রোগী দেখে আলাদা কোন ভিজিট নেন না তিনি। শুধুমাত্র ওষুধের টাকাটা নেন। তাই দিয়েই তার চলে যায়। শহরে গিয়ে ডাক্তারি করতে পারতেন। যশখ্যাতির কারণে ডাকও পেয়েছিলেন। কিন্তু যাননি। গ্রামের মানুষের ডাকে তাকে তো সাড়া দিতেই হবে।