মনোহরদীতে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বামীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

০২ আগস্ট ২০২১, ০৭:০৮ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম


মনোহরদীতে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বামীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

মনোহরদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মনোহরদীতে সাবেক মেম্বার ও তার সহযোগীদের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাহিদা আক্তার নামে এক গৃহবধূর স্বামীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামীর মুক্তি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই গৃহবধূ। সোমবার বিকেলে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের হল রুমে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় গৃহবধূর পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে কারাগারে থাকা ওই যুবক কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. আসাদ মিয়া। তিনি একজন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই গৃহবধূ জানান, চারমাস আগে বীরগাঁও গ্রামের আসাদ মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মোঃ আব্দুল মান্নান তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এতে রাজি না হওয়ায় তাদের সংসার ভেঙ্গে দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকী দেয় আব্দুল মান্নান। এ ঘটনায় গত ২৮ জুন গৃহবধূ সাহিদা বেগম মনোহরদী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয় মান্নান। এর জেরে গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় সাহিদার স্বামী আসাদকে বাড়ী থেকে ডেকে এনে জোরপূর্বক কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে উঠায় আব্দুল মান্নান, তার সহযোগী নজরুল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেন। তাকে উঠিয়ে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যবর্তী নির্জন জায়গায় নিয়ে অস্ত্র ধরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে স্ত্রীকে তালাক দিতে বলে অপহরণকারীরা।
এতে আসাদ রাজি না হওয়ায় রাতেই পাশর্^বর্তী কটিয়াদী উপজেলার সীমানায় নিয়ে কয়েক পিস ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

সাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের কাছে আমার স্বামীর মুক্তিসহ সুবিচার দাবি করি।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি তাদের কাছে টাকা পাই। পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’

কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দ বলেন, ‘আসাদ একজন ভালো ছেলে। সে কখনো মাদকরে সঙ্গে জড়িত নয়। দুশ্চরিত্ররা হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছে।’