মাধবদীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু

১৮ মে ২০২০, ১০:১৭ পিএম | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ পিএম


মাধবদীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো দুজন মারা গেছেন। সোমবার (১৮ মে) দুপুরে সদর উপজেলার মহিষাশুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. মো. শাহীনের স্ত্রী সাহেরা আক্তার (৪৩) ও বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিকের ভগ্নিপতি একই উপজেলার নূরালাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শরীফ হোসেন (৬০) মারা গেছেন।
নরসিংদী সদর উপজেলা করোনা প্রতিরোধ সেলের কুইক রেসপন্স টিমের আহবায়ক ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহ আলম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মহিষাশুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. মো. শাহীনের স্ত্রী সাহেরা আক্তার এক সপ্তাহ ধরে জ¦র ও ঠান্ডা ও গলা ব্যাথায় ভুগছিলেন। বিষয়টি গোপন রেখে চেয়ারম্যান নিজেই স্ত্রীর চিকিৎসা করছিলেন। এরই মধ্যে সোমবার সকাল থেকে পাতলা পায়খানা শুরু হলে তিনি দুপুরে মারা যান।

সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুটি করোনা উপসর্গ হওয়ায় একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও আত্মীয় স্বজন কাউকে কাছে না পেয়ে তিনি উপজেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আমরা সন্ধ্যার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক মৃতের দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেছি।

এদিকে মাধবদী পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক ও নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আলী হোসেন শিশিরের ভগ্নিপতি নুরালাপুর এলাকার বাসিন্দা শরীফ হোসেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

মাধবদী পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক বলেন, আমার ভগ্নিপতি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। এরইমধ্যে গত তিন মাস ধরে তিনি পায়ের ইনফেকশন নিয়ে জ¦র নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। দুদিন আগে তাঁর করোনা নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা করালে পজেটিভ শনাক্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেল (গতকাল) সাড়ে ৪ টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ভগ্নিপতির সেবা করতে গিয়ে আমার বোনেরও করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ওনারও নমুনা সংগ্রহ করা পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, নরসিংদী জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩০৬ জনে। এরমধ্যে বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১২৫ জন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ১৩ জন ও আইসোলেশন শেষে বাড়ি ফিরেছেন ১৬৪ জন এবং এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জন মারা গেছেন। সোমবার নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।



এই বিভাগের আরও