বেলাবতে মোবাইলে গেম খেলার জেরে ছেলের বন্ধুদের পিটুনিতে বৃদ্ধ বাবা নিহত

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৫:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম


বেলাবতে মোবাইলে গেম খেলার জেরে ছেলের বন্ধুদের পিটুনিতে বৃদ্ধ বাবা নিহত
নিহত আবুল হোসেন আবু মিয়া

বেলাব প্রতিনিধি:
নরসিংদীর বেলাবতে ফ্রি ফায়ার মোবাইল গেমকে কেন্দ্র করে ছেলের সাথে দ্বন্দ্বের কারণে ছেলের বন্ধুদের পিটুনিতে প্রাণ গেল ৭০ বছরের বৃদ্ধ পিতা আবুল হোসেন আবু মিয়ার। নিহত আবুল হোসেন আবু উপজেলার পাহাড় উজিলাব গ্রামের মৃত অলফত আলীর ছেলে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টায় উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের পাহাড় উজিলাব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে পাহাড় উজিলাব গ্রামের আবুল হোসেন আবু মিয়ার ছেলে মোঃ স্বপন মিয়ার মোবাইলের ফ্রি গেইম খেলার আইডি হ্যাক করে প্রতিবেশি গিয়াস উদ্দীনের ছেলে মুরাদ মিয়া, মানিক মিয়ার ছেলে জুরাইদ, রহিম উদ্দীনের ছেলে মুকুল মিয়া নামের কয়েকজন সহপাঠী। পরে তাদেরকে কাছ থেকে আইডি উদ্ধার করলে পূণরায় আবারও স্বপন মিয়ার আইডি হ্যাক করে তারা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে নিহত আবুল হোসেন আবু মিয়ার ছেলে মোঃ স্বপন মিয়ার সাথে পূণরায় ঝগড়া হয় তাদের।
সোমবার সকালে পাহাড় উজিলাব গ্রামের রহিম উদ্দীনের ছেলে মুকুল মিয়া, মানিক মিয়ার ছেলে জুনাইদ, গিয়াস উদ্দীনের ছেলে আমজাদ, মোবারক, রুবেল মিয়া, মালেক, ধন মিয়া সহ সহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে আবুল মিয়ার বাড়িতে হামলা করে। এসময় হামলাকারীরা আবুল হোসেন আবু (৭০)কে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। এসময় নিহতের স্ত্রী হালিমা আক্তার (৫৫), ছেলে স্বপন মিয়া (২০), রিপন মিয়া (২৫), মেয়ে সাবিনা আক্তার (২২) কে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। এঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা পলাতক রয়েছে।

নিহতের স্ত্রী হালিমা আক্তার জানান, আমার ছেলে স্বপন মিয়ার সাথে মোবাইলের গেম নিয়ে ঝগড়া ছিল প্রতিবেশি মুরাদ, জুরাইদ, রুবেল,মালেক, আমজাদের। তারাই আজ সকালে আমার বাড়িতে হামলা করে আমাদের সবাইকে মারপিট করে। তাদের পিটুনিতেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।

বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মোঃ শাহরিয়ার জানান, বৃদ্ধ ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বেলাব থানার ওসি মোঃ সাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন, হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ আমরা ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। নিহতের পরিবারকে বলেছি তারা যেন থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।



এই বিভাগের আরও