এমবিবিএস ভর্তি: এক আসনের বিপরীতে ১৮ জন!

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:০৭ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম


এমবিবিএস ভর্তি: এক আসনের বিপরীতে ১৮ জন!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় এক আসনের বিপরীতে ১৮ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন।  সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের (২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষার অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা আগামীকাল (১৭ সেপ্টেম্বর) শেষ হচ্ছে।  গত ২৭ আগস্ট দুপুর ১২টা ১ মিনিট থেকে অনলাইনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের (চিকিৎসাশিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) পরিচালক অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।  শেষদিকে আবেদনসংখ্যা খুব বড়জোর দু-চারশ বাড়তে পারে।

নির্ভরযোগ্য ভিন্ন একটি সূত্র জানায়, ওইদিন পর্যন্ত মোট ৭০ হাজার ১৫৫টি আবেদন জমা পড়ে।  উল্লেখ্য, গত বছর এবারের চেয়ে ছয় হাজারেরও কম (৬৫ সহস্রাধিক) আবেদন জমা পড়েছিল।

বর্তমানে সারাদেশে সরকারি ৩৬টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৪০৬৮টি।  মোট আসনের মধ্যে তিন হাজার ৯৬৬টি সাধারণ আসন, ৮২টি মুক্তিযোদ্ধা ও ২০টি উপজাতি কোটা।  এ হিসাবে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রতি আসনে প্রায় ১৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।

আগামী ১১ অক্টোবর (শুক্রবার) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে সারাদেশে কেন্দ্রীয়ভাবে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  দেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর থাকবে।

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের জন্য সারাদেশে মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মেডিকেল কোচিং বন্ধ রাখতে সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।  ইতোমধ্যেই বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গঠিত ভর্তি পরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সম্প্রতি বলেন, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এখন থেকে আর প্রেসে ছাপা হবে না।  কম্পিউটারে বিশেষ ধরনের সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রশ্নপত্র তৈরি হবে।

তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও প্রিন্ট দেয়ার সময় বাইরের কোনো লোক থাকবে না।  শুধু প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটির হাতেগোনা চার-পাঁচজন লোক সে সময় উপস্থিত থাকবেন।  পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আবেদনকারীর প্রত্যেকের জন্য এক সেট করে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হবে।  প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন হবে ভিন্ন।  ১০০টি প্রশ্ন থাকলেও কোন প্রশ্ন যে কোথায় বা কত নম্বরে থাকবে তা কোনো পরীক্ষার্থী বুঝতে পারবে না।  ফলে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও