বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

০৩ এপ্রিল ২০২০, ০৯:০৭ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০২ এএম


বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও প্রাইভেট চেম্বারগুলো খোলা না রাখলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেট হাপসাতাল কাজ কম করছে। ক্লিনিক ও চেম্বারগুলো অনেকাংশে বন্ধ আছে। আমরা সামাজিক মাধ্যমে জানতে পারছি আমরা নিজেরাও দেখতে পাচ্ছি। এমনটা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি জানান, নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের আইসোলেশন শুরু হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। ২৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চিকিৎসাধীন ২৯ জন। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে রয়েছেন ২২ জন। বাড়িতে পূর্ণ পর্যবেক্ষণে আছেন ৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে এবং ১০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কিটসের কোনো সংকট নেই। যাঁরা বাইরে যাবেন, তাঁরা মুখে মাস্ক পরে যাবেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলুন। আমাদের কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ আছে। তাদের মানুষের পাশে দাঁড়তে বলব। তা না হলে পরবর্তী সময়ে আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হব না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ ব্রিফিংয়ে জানান, দেশের প্রায় ২০-২২টি জেলা থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো তথ্য তারা পাননি।

রোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। বড় বড় কয়েকটি হাসপাতাল শুধু করোনাভাইরাসের জন্যই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যে কোনো রোগী, যাদের হাঁচি কাশি আসে ওই ধরণে রোগীরা তারা ঐ সমস্ত হাসপাতালে যাবেন, চিকিৎসা পাবেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ