লিবিয়া ফেরত পাঠাচ্ছে ১৭১ বাংলাদেশিকে

১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:১৪ পিএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম


লিবিয়া ফেরত পাঠাচ্ছে ১৭১ বাংলাদেশিকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অবৈধ পথে ইউরোপ পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন ভাগ্য সন্ধানী একদল বাঙালি অভিবাসী। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হওয়ায় লিবিয়ায় পৌঁছেই যাত্রা শেষ করতে হয়েছে তাদের। লিবিয়ার কোস্ট গার্ডের হাতে ধরা পড়ায় ১৭১ জন অবৈধ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে লিবিয়া। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়া সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম এর যৌথ সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে বাংলাদেশ দূতাবাস। ৩০ সেপ্টেম্বর ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল থেকে তাদের আটক করে কোস্টগার্ড। পরে তাদের জানজুর ও আবু সালিমে নামের দুটি আলাদা বন্দিশিবিরে রাখা হয়।

আরব নিউজের খবরে বাংলাদেশি এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ওই সময় প্রায় ২০০ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। দূতাবাসের কাউন্সিলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে তাই তাদের পাঠাতে বিলম্ব হতে পারে। তবে চলতি মাসের শেষ দিকে তাদের পাঠানো যাবে বলে দূতাবাস আশা করছে। এ পর্যায়ে তাদের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।

দেশটির অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে রাজধানী ত্রিপলী থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের একটি বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানো হবে। তাদের জন্য ইতোমধ্যে একটি ফ্লাইট ভাড়ার উদ্যোগও হাতে নেয় আইওএম। তারা তাদের খাবার ও যাবতীয় চাহিদা মিটাচ্ছে এবং নিয়মিত যোগাযোগও রক্ষা করছে।

আরব নিউজের সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয় ইউরোপের দেশ এবং ইতালিতে অবৈধ উপায়ে পাড়ি দিতে লিবিয়াকে প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে মানব পাচারকারী চক্রগুলো। তবে এবারের মতো অতীতেও বহুবার বাংলাদেশিদের সহযোগিতা করে আসছে আইওএম।

এজেন্সি ফ্রনটেক্স এর এক হিসেব মতে, এক দশকে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয় লিবিয়া উপকূলে। ইতোপূর্বে আইওএম এর সহযোগিতায় ২০১৭ সালে ৯২৪ জন, ২০১৬ সালে ৩০৭, ২০১৫ সালে ৫২১ জন অভিবাসী দেশে ফেরত এসেছে।


বিভাগ : বিশ্ব


এই বিভাগের আরও