ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮২ চিকিৎসকের মৃত্যু
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:২০ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন। মারা গেছে ১ হাজার ১৩২ জন। সব মিলিয়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৫১ লাখ ১৮ হাজার ২৫৩ জন। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত এখন বিশ্বে এক নম্বরে। আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ বেশি। করোনায় আক্রান্তের নিরিখে প্রথম পাঁচ রাজ্য হলো, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ ও দিল্লি।
এখন পর্যন্ত ভারতে করোনায় মোট ৩৮২ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) দাবি, মৃতদের পরিবার কোনো সরকারি সাহায্য পায়নি। তাঁদের প্রশ্ন, প্রায় ১ লাখ মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে, তখন চিকিৎসকদের অবদানের কথা কী করে ভুলে যেতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার?
করোনা শুরু হওয়ার পর চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের জন্য থালা বাজানো হয়েছে। জ্বালানো হয়েছে মোবাইলের টর্চ বা প্রদীপ। এভাবেই বারবার তাঁদের কুর্নিশ জানাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দেশে যখন করোনায় আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি, যখন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে তাঁদের সেবা করছেন, তখন আর সরকারের মুখে এই করোনাযোদ্ধাদের কথা নেই কেন? মৃত চিকিৎসক পরিবারের পাশে কেন সরকার দাঁড়ায়নি? অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে করোনার কথাই এখন সরকার যতটা পারে এড়িয়ে যেতে চাইছে।
খুব কড়া বিবৃতি জারি করে আইএমএ বলেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮২ জন চিকিৎসক মারা গেছেন। সবচেয়ে কম বয়সী হলেন ২৭ বছরের চিকিৎসক এবং বেশি বয়সী হলেন ৮৫ বছরের। তাঁরা সবাই করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়েই মারা গেছেন। হাজার হাজার চিকিৎসক করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে শামিল। অথচ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন সংসদে একবারের জন্যও চিকিৎসকদের অবদানের কথা বলেননি। সরকার কী করে করোনাযোদ্ধা চিকিৎসকদের এভাবে উপেক্ষা করতে পারে, তাঁদের ভুলে যেতে পারে, তাঁদের অবদান অস্বীকার করতে পারে?
আইএমএর বক্তব্য, অন্য কোনো দেশে এত জন চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীর মৃত্যু হয়নি। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে, সরকারের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। কিছুদিন আগে যাঁদের জাতীয় নায়ক বলা হচ্ছিল, তাঁরা এখন ব্রাত্য। যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি সরকার। মৃত চিকিৎসকদের আগে 'শহীদ' বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তাঁদের পরিবারের জন্য কিছুই করা হয়নি।
সরকার অবশ্য বলছে, প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ধরলে ভারত এখন বিশ্বে এক নম্বরে। কিন্তু যদি জনসংখ্যার নিরিখে দেখা যায়, তাহলে ভারতে করোনায় আক্রান্তের হার অন্য দেশের তুলনায় কম। সুস্থতার হারও বেশি। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, যখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল খুবই কম, তখন সরকার দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন করে রাখল। এখন করোনার প্রকোপ তুঙ্গে, সে সময় সরকার কিছুই করছে না। এমন একটা ভাব দেখাচ্ছে যেন সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। (সূত্র : ডয়েচে ভেলে)
বিভাগ : বিশ্ব
- রেডি টু কুক মৎস্যপণ্য উৎপাদন গবেষণা আরও জোরদার করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- নরসিংদীতে পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি গঠন
- নরসিংদীতে সততা চর্চার অভ্যাস গড়তে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা
- বেলাবতে অনুপস্থিতিসহ দুর্নীতির অভিযোগে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি
- মাধবদীতে জুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩
- এক দফার আন্দোলন শুধু দুই মাসের নয়, ১৬ বছরের আন্দোলন: খায়রুল কবির খোকন
- নরসিংদীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির বর্ণাঢ্য র্যালি
- স্ত্রীর সঙ্গে কলহের জেরে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা
- যক্ষ্মারোগ নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময়
- আওয়ামী লীগ ভেবেছিল তারা চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে: খায়রুল কবির খোকন
- রেডি টু কুক মৎস্যপণ্য উৎপাদন গবেষণা আরও জোরদার করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- নরসিংদীতে পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি গঠন
- নরসিংদীতে সততা চর্চার অভ্যাস গড়তে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা
- বেলাবতে অনুপস্থিতিসহ দুর্নীতির অভিযোগে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি
- মাধবদীতে জুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩
- এক দফার আন্দোলন শুধু দুই মাসের নয়, ১৬ বছরের আন্দোলন: খায়রুল কবির খোকন
- নরসিংদীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির বর্ণাঢ্য র্যালি
- স্ত্রীর সঙ্গে কলহের জেরে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা
- যক্ষ্মারোগ নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময়
- আওয়ামী লীগ ভেবেছিল তারা চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে: খায়রুল কবির খোকন