বাংলাদেশে ঈদ উৎসব 

১৮ জুলাই ২০২১, ১২:১১ পিএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ এএম


বাংলাদেশে ঈদ উৎসব 

 

                                        {ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন}

ঈদ শব্দটি আরবী আওদুন শব্দ থেকে নির্গত, যার অর্থ ফিরে আসা। যেহেতু ঈদ বছরজুড়ে নতুন আনন্দ নিয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসাই একে বলা হয় ঈদ। অন্য কথায় ঈদ অর্থ আনন্দ বা খুশি। ঈদ মুসলমানদের জীবনের সবচেয়ে বড় উৎসব। মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই আনন্দ উৎসব প্রিয়। প্রতিটি জাতি বা সম্প্রদায় তাদের নিজ নিজ ঐতিহ্য অনুযায়ী তাদের আনন্দ উৎসব পালন করে থাকেন। মুসলমানদের ঈদ উৎসব, হিন্দুদের পূজা পালন, খ্রিষ্টানদের বড় দিন পালন ইত্যাদি। মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।

ঈদুল ফিতর শুরু হয় আজ থেকে ১৩৮০ সৌর বছর পূর্বে। ঈদুল ফিতর বাংলা প্রাচীণ উৎসবগুলির অন্যতম। বাংলাদেশের এ দিবসটি অত্যন্ত জাকজমকের সাথে পালিত হয়। সকলেই এ দিন তাদের সাধ্যানুসারে ভালো পোষাক পরে এবং উত্তম খাবারের আয়োজন করে। আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীরাও আনন্দের অংশীদার হয়। মুসলমানরা এদিন ঈদের দু’রাকাত নামাজ আদায় করে আত্মীয় স্বজনদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। বাবা-মা আত্মীয় স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন। গীরবদের মাঝে ফিতরা প্রদান করেন। তাছাড়া অনেকে বস্ত্র বিতরণ ও করে থাকেন। গরীব মানুষ অনেক সময় এ বস্ত্র আনতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। 

ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকে। বাংলাদেশ যেহেতু গ্রাম প্রধান দেশ, এ দেশের লোকেরা গ্রামে গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে একসাথে ঈদ উৎসব পালন করেন। এ সময় পত্র-পত্রিকায় ঈদ সম্পর্কে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও ম্যাগজিন প্রকাশ করে থাকে। রেডিও-টেলিভিশনে সপ্তাহব্যাপী সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। আমাদের দেশে ঈদের প্রস্তুতি হিসেবে সবাই নতুন জামা কাপড় কিনে। মেয়েরা তাদের সামর্থ অনুসারে গহনা কেনে। 

ছোট ছেলে মেয়েরা তাদের বন্ধুদের ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড প্রদান করে। অতীতে সবাই ঈদ কার্ড দিত। এখনও ঈদ কার্ড প্রদান করে। কিন্তু তা খুব কম। এখন সবাই মোবাইলে মেসেজ পাঠায়। চাঁদরাতে মেয়েরা হাতে মেহেদী পরতে আরম্ভ করে। বর্তমানে মেহেদী টিভিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করে। ঈদে নামাজের জন্য প্রস্তুতি, তারপর নামাজ, আলিঙ্গন, অত:পর মৃতদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা, কুরবানী, মাংস বিতরণ, ঈদি বা সালামি। ঈদে বিশেষ খাবার, বিশেষ করে সেমাই ও অনেক প্রকার মিষ্টি জাতীয় খাবার রান্না করা হয়। আত্মীয় স্বজনদের দেখতে যাওয়া। সবাই গ্রামের বাড়ীতে ঈদ উদযাপন করার জন্য শহর হতে গ্রামে যায়। এ সময় বাস, লঞ্চ, ট্রেন, সর্বত্র ভীড় থাকে। বাসের ভাড়া ও বেশি থাকে। অনেক কষ্ট করে তারা বাড়ি ফেরে।  

শহর, গ্রাম সর্বত্র জামাআত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাআত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোয়ালাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। গ্রাম এলাকায় ঈদ উৎসবে প্রাণÑপ্রাচুর্য থাকে অপরিমেয়। আমাদের দেশে অল্প সংখ্যক লোক সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আমাদের দেশের একদিন আগেই ঈদ উৎসব পালন করে থাকে।

ঈদ উৎসবে গ্রাম বাংলার অনেক স্থানে ঈদের মেলা বসে। মূলত পল্লীবাসির এক মিলনমেলা। নদীর তীরে, গ্রাম্য বাজারের নিতট বটতলায় এসব মেলা জমে উঠে। মেলায় আসে লোকশিল্পের নানা পণ্য দ্রব্য, এছাড়া খাবারের জিনিসও আসে। যেমন চিড়া, মুড়ি, খৈ, মোয়া, মিঠাই ইত্যাদি। নকশী পাখা, পুতুল, রঙ্গিন হাড়ি-পাতিল ইত্যাদির দোকানও বসে। বাঁশি, ঢোল, একতারা জাতীয় ছোটদের বাদ্যযন্ত্রও পাওয়া যায়। কোন কোন মেলায় নাগর দোলা, ছবির খেলা, পুতুল নাচ ইত্যাদিও প্রদর্শিত হয়। এছাড়া ঈদ মেলায় মারফতি, মুর্শিদি, এবং অন্যান্য আধ্যাত্বিক সংগীতেরও আসর বসে থাকে। বর্তমানে ঈদের ছুটিতে বিনোদন পার্কগুলিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। নদীবহুল বাংলাদেশে কোন কোন অঞ্চলে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। আর এই নৌকা বাইচগুলো খুবই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। 

গ্রামাঞ্চলে কোথাও কোথাও ঈদ উপলক্ষে খেলাধুলারও আয়োজন করা হয়ে থাকে। হাডুডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, কাবাডি, ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলাধূলার আয়োজন করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সংগঠন তাদের নিজেদের বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করে। যেমন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, নাকট মঞ্চায়ন, যাত্রাপালা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এই সময় সকলকে একসাথে পাওয়া যায় বিধায় অনেক ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সমস্ত অনুষ্ঠানমালা ঈদের উৎসবকে নতুন যাত্রা প্রদান করে থাকে। 

ঈদের নামাজের পর মুসল্লিদের মধ্যে কোলাকুলি বিনিময় একটি ধর্মীয় অনুসঙ্গ। একে অপরের বুকে বুক লাগিয়ে কোলাকুলি তাদের ভেদাভেদ ভুলিয়ে দেয়। ধনী-গরীব সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে। এতে করে তাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়। 

কুরবানীর ঈদ বা ঈদুল আযহাতে ঈদের নামাজের পর কুরবানীর কাজ শুরু হয়ে থাকে। যে ব্যাক্তি কুরবানী দিয়ে থাকেন, সে নিজেই উক্ত পশু যবেহ করা সুন্নত। তাঁর পক্ষে অন্য যে কেউ যবেহ করতে পারবে। যবেহ করার সময় সূরা আনআম এর ৮০ নম্বর ও ১৬৩ নম্বর আয়াত পাঠ করা হয়। প্রথমটির অর্থাৎ আমি আমার মুখ করলাম যিনি আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রতি একনিষ্ঠভাবে এবং আমি মুশরিক নই। দ্বিতীয়টির অর্থ হলো অবশ্যই আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ সবই আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি নিখিল বিশ্বের প্রতিপালক, তার কোন শরীক নেই। তারপর বলা হয়- যে আল্লাহ এ পশু তুমিই দিয়েছ এবং তোমারই জন্য কুরবানী করতেছি। সুতরাং তুমি ইহা কবুল কর ইত্যাদি। তারপর বিসমিল্লাহ্, আল্লাহু আকবার বলে যবেহ করা হয়। 

আমাদের দেশে অনেক ঈদের রাতে মাইক বাজায়, গান বাজিয়ে আনন্দ করে। সন্ধ্যায় গ্রামে ছেলেরা ও বয়স্করাও ঈদের চাঁদ দেখার জন্য দলবেঁধে অপেক্ষা করে। চাঁদ দেখা গেলে সবাই মিলে আনন্দ মিছিল করে। 

পবিত্র ইসলাম বিশ্ব মানবের ধর্ম, বিশ্বধর্ম। তাই ইসলামের সমস্ত আনন্দোৎসবই বিশ্বজনীন ও সর্বজনীন। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স:) উম্মতে মুহাম্মদীর নেতা। তাই তার প্রদর্শিত মত ও পথই মুসলমানদের চরম ও পরম পথ। মুসলমানদের প্রতিটি পর্ব ও আনন্দোৎসবই আধ্যাতিকতার মহিমায় মহিমান্বিত। মুসলমানদের সমস্ত পর্ব ও আনন্দোৎসবের সাথেই রয়েছে রোজা ও নামাজের সম্পর্ক-ইহলৌহিক ও পরলৌকিক মুক্তি ও কল্যাণের বারতা। ঈদুল আযহা অনন্য মহিমায় ভাস্বর হয়ে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। 

ঈদের রয়েছে সামাজিক গুরুত্ব। দল-মত, ধনী-দরিদ্র, রাজা-উজির, ফকির-ভিখারী নির্বিশেষে ঈদগাহ ময়দানে সমবেত হয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে মুক্তি কামনার মধ্যে তা প্রকাশ হয়। সামাজিক জীবনে ঘৃণা, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে পুনরায় ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত ও আন্তরিকতাপূর্ণ সামাজিক জীবন যাপনের সম্পর্ক নিয়ে আসে পবিত্র ঈদ। 

অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে বলা যায় যে, ইসলামে নির্দিষ্ট সম্পদের মালিক তার পরিবারের প্রতিটি মানুষপিছু নির্দিষ্ট হারে ফিতরা দিবে। সেই ফিতরা পাবে সমাজের অতি দীন, দারিদ্র ও দুর্বল অংশের মানুষেরা। তা অবশ্য কর্তব্য বিধায় এ দানের মাধ্যমে দাতার সহানুভূতিশীল হৃদয় ও হাত প্রসারিত হয়। দরিদ্র, দুর্বল মানুষের প্রতি তার দায়িত্ব ও কতর্ব্য জাগরিত হয়। কুরবানীর ঈদে কুরবানী করে তার এক অংশ গরীব দুঃখীর মাঝে বিলিয়ে দিয়ে এক সহমর্মিতার মাধ্যমে সবার মধ্যে যে আনন্দ বিরাজ করে তাই হলো ঈদের অর্থনৈতিক অনন্য গুরুত্ব। একটি দেশে একটি জাতির মধ্যে রয়েছে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তিত্ব ও জনগোষ্ঠী। এই ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ যাতে জাতিকে বিভক্ত করে দুর্বল করতে না পারে সে জন্য দলমথ নির্বিশেষে ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজে মহামিলনের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শ সত্ত্বেও জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সংকল্পবদ্ধ হওয়া। 

ঈদের রয়েছে আন্তর্জাতিক ও সার্বজনীন গুরুত্ব। মহানবী বিশ্বনবী, তাঁর প্রারিত ধর্ম বিশ্বধর্ম। পবিত্র কুরআন বিশ্ব ধর্মগ্রন্থ ও মুহাম্মদ (স:) এর মতবাদ বিশ্ব ও সার্বজনীন মতবাদ। ইসলাম কোন আঞ্চলিক জাতিগত ধর্ম নয়। তা দেশ, কাল, পাত্রের সীমার বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপ্তী। 

বাংলার মহান কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় ইসলামের এই চেতনার সার্থক রূপ লক্ষ্য করা যায়। কবিতার ভাষায়Ñ  শহীদী ইদগাহে দেখ জমায়েত ভারি হবে দুনিয়াতে আবার ইসলামী ফরমান জারি।  তুরান-ইরান হেজাজ মেসের হিন্দ মরোক্কো ইরাক হাতে হাত মিলিয়ে আজ দাড়াই ছে যে সারি সারি। 

ঈদ উৎসবে আল্লাহ প্রিয়বান্দা নিজেকে বিলিয়ে দেয়। এ বিলিয়ে দেওয়ার মর্মবানী বাংলার প্রিয় কবি নজরুলের কবিতায় অতি সুন্দরভাবে কাব্যময় ভাষায় বর্ণিত হয়েছে

ও মন রমজানেরই ঐ রোজার শেষে

এলো খুশির ঈদ। 

তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন -----

আসমানি তাগিদ। 

নানা ইতিহাস গ্রন্থ ও ঐতিহাসিক সূত্র থেকে বাংলাদেশে রোজা পালন ও এবং ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ উল আযহা উদযাপনের খবর পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গদেশ মুসলিম অধিকারে এলেও এ দেশে নামাজ, রোজা ও ঈদোৎসবের প্রচলন হয়েছে তার বেশ কিছু আগে থেকেই। কারণ বঙ্গাদেশ যুদ্ববিগ্রহের মাধ্যমে মুসলিশ অধিকারে আসার বহু আগে থেকেই মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া থেকে মুসলিম সুফি, দরবেশ ও সাধকরা ধর্মপ্রচারের জন্য উত্তর ভারত হয়ে পূর্ব বাংলায় আসেন। অন্যদিকে আরবীয় এবং অন্যান্য মুসলিম দেশের বণিকেরা চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ও বাংলার সঙ্গে বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক স্থাপন করেন। এ ভাবেই একটা মুসলিম সাংস্কৃতিক তথা ধর্মীয় প্রভাব যে পূর্ব বাংলায় গড়ে উঠেছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। ঈদোৎসবের সূচনাও এই প্রক্রিয়াতেই হয়েছে। ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায় অষ্টম শতকের দিকেই বাংলাদেশে মুসলমানদের আগমন ঘটে। ফলে এই সুফি দরবেশ এবং তুর্ক-আরব বণিকদের মাধ্যমে বর্তমান বাংলাদেশে রোজা, নামাজ ও ঈদের সূত্রপাত হয়েছে বলে মনে করা হয়। রাজধানী ঢাকার প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় ঈদ উদযাপনের কিছু কিছু খবর পাওয়া যায়। 

মির্জা নাথান তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থে ঢাকায় ঈদোৎসবের কিছু বিবরন দিয়েছেন। সপ্তদশ শতকের গোড়াতে ঢাকা ও তার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে আরবী শাবান মাসের ২২ তারিখ থেকেই রোজার আয়োজন শুরু হয়। মুঘল ও পাঠান আমলে ঢাকায় পঞ্চায়েতী চৌকিদারের মাধ্যমে ডেকে ডেকে সেহরী খাওয়ানোর প্রচলন ছিল। বাংলাদেশে ঈদ উৎসবের বিপুল বিস্তার ঘটেছে। এ উৎসব ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। 

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিপুল মধ্যবিত্ত শ্রেণি গড়ে উঠেছে। বিত্ত, রুচি ও সংস্কৃতিতে তেমন পাকা না হয়ে উঠলেও তারা সামাজিক শ্রেণি হিসেবে নতুন গুরত্ব তাৎপর্য লাভ করায় তাদের প্রধান উৎসব হিসেবে ঈদোৎসব জাতীয় মর্যাদা লাভ করে। বাংলাদেশে ঈদ এখন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও রীতিনীতির অংশ তার চেয়ে বেশি জাতিগত সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার নির্মাণের নব প্রকাশ। বাংলাদেশের আধুনিক বাঙ্গালী মুসলমানদের ধর্ম, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রাকে সমন্বিত করার এক নতুন প্রকাশ ও আমরা লক্ষ্য করি ঈদোৎসবের নববিন্যাসের মধ্যে। 

এবারের ঈদ উৎসব করোনার কারণে অনেকের কাছে ম্লান ,অনেকে টাকার অভাবে কোরবানী দিতে পারবেনা। অনেকের চাকুরি নেই , অভাবের সংসার করোনার কারণে অনেকে চাকুরি হারিয়েছেন, ইনকাম নেই। তারপরও সহযোগিতা আর সহমর্মিতায় সবার ঈদ সুন্দরভাবে কাটুক -এই প্রত্যাশা করছি।

লেখক: চেয়ারম্যান, নরসিংদী প্রেসিডেন্সি কলেজ, ০১৭১৭৩২৪৯৭৫


বিভাগ : মতামত


এই বিভাগের আরও