শিবপুরে ক্লিন কুকিং এর উপর নারী উদ্যোক্তা তৈরি সভা

২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৩১ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৪ পিএম


শিবপুরে ক্লিন কুকিং এর উপর নারী উদ্যোক্তা তৈরি সভা

এসএম আরিফুল হাসান:

সাশ্রয়ে জ্বালানী, সমৃদ্ধ আগামী, উন্নত চুলা, উন্নত জীবন গড়ার লক্ষে নরসিংদীর শিবপুরে ক্লিন কুকিং এর উপর নারী উদ্যোক্তা তৈরির জন্য এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) হাউসহোল্ড এনার্জি প্ল্যাটফর্ম প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ, স্রেডা বিদ্যুৎ বিভাগ এর আয়োজনে ও স্থানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠান ফিরোজা আরিফ মহিলা উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় উপজেলার দত্তেরগাঁও দক্ষিণ মধ্যপাড়া গ্রামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহনওয়াজ দিলরুবা খান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্লিন কুকিং প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সালিমা জাহান।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ক্লিন কুকিং প্রকল্পের কর্মকর্তা নুরুল আলম মিঠু, দত্তেরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর উদ্দিন দর্জী, শিবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, মাছিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কলিম উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি মহিলা সদস্য সামসুন্নাহার সেতু প্রমুখ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব শাহনওয়াজ দিলরুবা খান বলেন, সরকার নারী উন্নয়ন, নারী উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাইছেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কর্মী হিসেবে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ব এবং উন্নত চুলার মাধ্যমে দত্তেরগাঁও গ্রামকে সর্ব প্রথম শতভাগ বায়ু দুষনমুক্ত গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলব। বাংলাদেশের মধ্যে সর্ব প্রথম দত্তেরগাঁও গ্রামকে এই প্রকল্পের আওতায় নেয়া হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সালিমা জাহান বলেন, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। যাদের শরীরে এবং মনে দুটিতেই যৌবন আছে, তারুণ্য আছে, তারাই দেশের জন্য যুদ্ধ করবে। যুদ্ধ মানে আমরা ৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি। আমরা একটা স্বাধীন এক খন্ড জমি পেয়েছি এটা বাংলাদেশ। এরপরে আমাদের কাজ হল এই স্বাধীনতাটাকে ধরে রাখা এবং আমরা প্রত্যেকে স্বাধীন হওয়া। সেই স্বাধীনতাটা হবে আমরা সব ধরনের খারাপ জিনিস থেকে স্বাধীন হয়ে যাব, মুক্ত হয়ে যাব।

পেশার কুকারে রান্না করলে তারাতারি হয়ে যায়। কাজেই রান্না করতে চুলায় যাতে বেশী সময় না লাগে এবং বায়ুদূষণ না হয় সে জন্য বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ বান্ধব উন্নত জ্বালানী এবং চুলা ব্যবহারের এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সব ঘরে ঘরে পরিচ্ছন্ন জালানী এবং চুলাতে রান্না হয়।