বিদ্যালয় ঘেষে মাছের খাদ্য তৈরির কারখানা, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

২৯ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৩৪ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ এএম


বিদ্যালয় ঘেষে মাছের খাদ্য তৈরির কারখানা, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

শেখ মানিক:

নরসিংদীর শিবপুরের পুটিয়া ইউনিয়নের ১৪০ নং বাড়ৈ আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থাপন করা মাছের খাদ্য তৈরির কারখানার দুর্গন্ধে টিকতে পারছেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কারখানাটির যন্ত্রাংশ ও মেশিনের শব্দ দূষণে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রমও।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টির ২০ ফুট পশ্চিম পাশে গড়ে তোলা হয়েছে নামবিহীন মাছের খাদ্য তৈরির এই কারখানাটি। এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের নিষেধের পরও কারখানাটি একেবারেই বিদ্যালয় ঘেঁষে করা হয়েছে। বিদ্যালয় চলাকালীন চালু থাকে কারখানাটির খাদ্য উৎপাদন কার্যক্রম। এতে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যের দুর্গন্ধে এবং মেশিনের বিকট আওয়াজে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।

মাছের খাদ্য তৈরির পঁচা উপকরণ বিদ্যালয় সংলগ্ন খোলা মাঠে রোদে শুকাতে দেওয়া হয় এবং কারখানায় তৈরি করা মাছের খাদ্যের দুর্গন্ধে বাতাস হচ্ছে দূষিত। এতে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছে। ফলে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার পরিবেশের ক্ষতি এবং নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এই বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক ও ১২০ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, ওই কারখানার দুর্গন্ধে ও মেশিনের আওয়াজে তাদের ক্লাসে লেখাপড়া করতে কষ্ট হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উম্মে কুলসুম জানান, এখানে কারখানা না করার জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকগণ নিষেধ করেছিলাম। বিদ্যালয়ের কোন ধরনের ক্ষতি হবে না জানিয়ে তারা কারখানাটি করেছে। আমরা বিষয়টি উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছি।

পুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার হাসান উল হক এলিছ জানান, ওই মাছের খাদ্যের ফ্যাক্টরিকে পরিষদ কর্তৃক ট্রের্ড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে কী না তা রেজিস্ট্রার খাতা দেখে বলতে পারবো।

ওই কারখানার মালিক পক্ষের মনির হোসেন ও শহিদুল্লাহ মুঠোফোনে জানান, এই পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। বিদ্যালয়ের ক্ষতি হলে কারখানা চালাবো না।

শিবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল ছগীর জানান, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। বিদ্যালয় পরিদর্শন করে বিষয়টি দেখা হবে। 



এই বিভাগের আরও