রায়পুরায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা প্রত্যাহার দাবি

২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৪:০৭ পিএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ এএম


রায়পুরায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা প্রত্যাহার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের কুঁড়েরপাড় গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে আলমগীর হত্যা মামলায় এলাকার নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানোসহ বাড়িঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা। শনিবার সকালে শহরের কোর্ট রোডের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য বিজয় রহমান সোহাগ দাবি করেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাতিজা রাকিব মিয়ার হকিস্টিকের আঘাতে নিহত হন কুঁড়েরপাড় গ্রামে আলমগীর হোসেন। এলাকার দাঙ্গাবাজ মহল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে ও মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে লাভবান হতে এই হত্যাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। দাঙ্গাবাজদের প্ররোচনায় আলমগীর হত্যা মামলার বাদী তার ভাই জুলহাস মিয়া প্রকৃত খুনির নাম মামলায় উল্লেখ না করে এলাকার ২৩ জনকে আসামী করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রায়পুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে নিরপরাধ ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা ২৩ আসামীর মধ্যে ১১ জন হত্যার ঘটনার সময় ব্যবসায়িক ও পেশাগত কর্মস্থল সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থান করছিল। এমন কী সিলেটের এম সাইফুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকেও হত্যা মামলার আসামী করা হয়। এছাড়া আসামীদের বাড়িঘর ভাংচুর, ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নি-সংযোগ করা হয়েছে।


সংবাদ সম্মেলনে ওই হত্যা মামলার এক আসামীর ছেলে বিজয় রহমান সোহাগ আরও অভিযোগ করেন, হত্যার ঘটনাকে পুজি করে বেশকিছু চাঁদাবাজ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান ও এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে নিহত আলমগীরের বড় ভাই জুলহাস মিয়ার সাথে ৫০ লাখ টাকার চুক্তি করে মামলাটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসব রফাদফা ও ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা শেষে ৪ দিন বিলম্বে থানায় হত্যা মামলা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।


এসময় উপস্থিত ছিলেন, মামলার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আখি বেগম, নাহিদা বেগম, হাসানুল হকসহ অন্যান্যরা।