রায়পুরায় দেবরসহ স্বজনদের দেয়া আগুনে দগ্ধ নারীর মৃত্যু

০৯ আগস্ট ২০২১, ০৬:২৭ পিএম | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৪:২৪ এএম


রায়পুরায় দেবরসহ স্বজনদের দেয়া আগুনে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
নিহত পারভীন আক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর রায়পুরায় সাবেক দেবরসহ স্বজনদের দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার একদিন পর মারা গেছেন স্বামী পরিত্যক্তা এক সন্তানের জননী পারভীন আক্তার (৩০)। সোমবার ভোর ৪টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। শরীরের ৭৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পোড়া নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

নিহতের ভাই আক্রাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

নিহত পারভীন আক্তার রায়পুরার মরজাল এলাকার প্রবাসী জাকির হোসেনের সাবেক স্ত্রী ও একই উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের সোবানপুর গ্রামের দানা মিয়ার মেয়ে।

পুলিশ ও অগ্নিদগ্ধ নারীর পরিবার জানায়, দুই বছর আগে স্বামী জাকির হোসেনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর এক সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন পারভিন আক্তার। শনিবার দুপুরে টিকা নিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন সাবেক শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

ওইদিন সিএনজি অটোরিকশায় বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পরে সন্ধ্য়ায় তার দেবরসহ চারজন তার মুখ বেঁধে ফেলে। এক পর্যায়ে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে লোচনপুর এলাকার একটি নির্জন বাঁশঝাড়ে ফেলে যায়। স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনে আগুন নেভানোর পর তাকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করার একদিন পর তার মৃত্যু হয়।

এঘটনায় নিহতের ভাই আক্রাম হোসেন বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা করেন। এরমধ্যে পুলিশ মরজাল এলাকার হাফিজ উদ্দিন মুন্সীর ছেলে আলী হোসেন (৩২) এবং তার ভাগনে ও কাজী আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. শাহরিয়ার (১৮)কে গ্রেপ্তার করে। সোমবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাদের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।



এই বিভাগের আরও