০৮ জানুয়ারি ২০১৮, ০৯:২৬ এএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পিএম


নিজেস্ব প্রতিবেদক বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করেছে দেশের সবচেয়ে উত্তরে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়াতে। আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বিবিসিকে বলেছেন তেতুলিয়াতে আজ ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছেন তারা। এর আগে সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে আর সেটি ছিলো ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নরসিংদীতে আজকে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা হলো ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নরসিংদীর বেলাবতে এই তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়। আবহাওয়া অফিস এর তথ্য মতে আজ রাতে নরসিংদীর কিছু কিছু স্থানে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ নামতে পারে। এছাড়া মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্য প্রবাহ থাকতে পারে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে সাথে বেড়ে যাচ্ছে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা এই শীতে বেশি ভোগান্তির পোহাতে হইতেছে।গত কয়েকদিন ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।  নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। কাজকর্ম না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের এসব লোকজন। অসহায় শীতার্তরা শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখও দেখা যাচ্ছে না। দুপুরের পর সূর্য দেখা গেলেও উষ্ণতা ছড়াতে পারছে না। মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে একটু উষ্ণ হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। স্কুল-কলেজগুলোয় উপস্থিতি কমে গেছে। শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় শহরের দোকানপাটও খুলছে না। সড়ক মহাসড়ক ও হাটবাজারগুলোয় লোকজন চলাচল কমে গেছে। দিনের বেলা যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। সরকারিভাবে যে পরিমাণ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে তা খুবই সামান্য।  


এই বিভাগের আরও