নরসিংদীতে আ’লীগ নেতাকে আটক করে বিকাশে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের অভিযোগ

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১০ পিএম | আপডেট: ০২ মে ২০২৪, ০২:২৯ এএম


নরসিংদীতে আ’লীগ নেতাকে আটক করে বিকাশে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীতে এক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করে বিকাশে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো: শাহিন মিয়া।

আলোকবালী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটি সদস্য হাবি মিয়া ও একই এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে মিটল মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়। এর আগে রোববার দুপুরে শহরের বিলাসদী মহল্লার ব্যাংক কলোনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শাহীন মিয়ার অভিযোগ, অভিযুক্তদের সাথে তার রাজনৈতিক ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে নরসিংদী আদালতের ৩ নং গেইট হতে তাকেসহ একই এলাকার হাজি আব্দুল বাতেনের ছেলে শাহীন ও ধনু মিয়ার ছেলে রাহীমকে ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দুইটি সিএনজির মাধ্যমে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মারধর করে এবং ভয় দেখিয়ে কয়েকটি বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে ৭১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিকাল ৪ টায় ছেড়ে দেয়া হয়।

ভুক্তভোগী শাহীন মিয়া বলেন, "আমাদেরকে মারধর করার সময় সন্ত্রাসীরা বারবার আমার প্রতিপক্ষ হাবি মিয়া ও মিটল মিয়ার কথা বলতেছিল। তাদের দাবি ছিল, আমাকে হত্যা করার জন্য ১ লাখ টাকার চুক্তি করেছিল আমার প্রতিপক্ষ। এখন আমি বাঁচতে চাইলে তাদেরকে দেড় লাখ টাকা দিতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

নরসিংদী জজ আদালতের আইনজীবী আসাদ উল্লাহ বলেন, "আইননী সেবা নিতে শাহীন মিয়া আমার চেম্বারে এসেছিলেন। পরে ফেরার পথে যেখান থেকে তাকে তুলে নেয়া হয়েছে, সেখানে এবং তার আশেপাশে সিসিটিভি ছিল। আমরা আশাবাদী এগুলো যাচাই বাছাই করে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীদেরকে খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযুক্ত মিটল মিয়া বলেন, "শাহীনের সাথে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কার প্ররোচনায় সে আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, আমি জানি না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য ও এলাকায় সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে এসব নাটক সাজানো হয়েছে। আমি চাই তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসন যেন প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করেন।"

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া বলেন, "লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।"