এসএসসির ফলাফলে নরসিংদীর এনকেএম স্কুলের ধারাবাহিক চমক

২৮ জুলাই ২০২৩, ০৫:৪৬ পিএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১০ পিএম


এসএসসির ফলাফলে নরসিংদীর এনকেএম স্কুলের ধারাবাহিক চমক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এসএসসির ফলাফলে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রেখেছে নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস (এনকেএম)। এ বছর ২৭৮ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৭০ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। শুক্রবার সকালে অনলাইনে এসএসসির ফলাফল ঘোষনার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন।

প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লা ও মিসেস নাছিমা মোল্লা। এর আগে ২০২২, ২০১৭ ও ২০১৫ সালে শতভাগ পাসসহ শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়ে দেশ সেরা ফলাফল অর্জন করেছিল এই প্রতিষ্ঠানটি।

বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতে টানা শতভাগ পাসসহ ফলাফলের ভিত্তিতে প্রায় প্রতিবছরই বোর্ডে দেশ সেরার  স্থান দখল করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৬৯ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ৯ জন পরিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৭০ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে।

এর আগে গত ২০২২ সালে ২৬৬ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৬৬ জনই জিপিএ ৫ পেয়েছিল। এছাড়া ২০২১ সালে ২৪৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৩৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। ২০২০ সালে ২১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২০০ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। ২০১৯ সালে সালে ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ১৬৮ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ১৩৯  জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ  ১৩৭  জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল এবং ২০১৭ সালের এসএসসি পরিক্ষায় ১৬৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ ৫ পেয়েছিল।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পাওয়া শাহরিয়ার নাফিজ সৃজন জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সঠিক দিক-নির্দেশনা, নিয়মিত ক্লাস, বিশেষ ক্লাস, গাইড টিচারের মাধ্যমে নিয়মিত হোম ভিজিট, টিউটেরিয়াল ও মাসিক পরিক্ষার কারণেই এই ভাল ফলাফল সম্ভব হয়েছে।’

নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই ভাল ফলাফল করছে। এবার শতভাগ পাসসহ দেশ সেরা ফলাফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। সারাদেশের সার্বিক ফলাফল বিশ্লেষণ করলে আশা করছি আমরা দেশসেরা অবস্থানে থাকব।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই সাফল্য শুধু এই প্রতিষ্ঠানের একার না। এই সাফল্য পুরো নরসিংদীবাসীর। এরই লক্ষ্যে আমার পরিচালনাধীন মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন শুধু আমাদের পরিচালনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, জেলার প্রায় ৩১৫ টি স্কুল ও কলেজে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করনে সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন বলেন, ‘একটি বিদ্যালয়ের ভাল ফলাফলের মূল মন্ত্র হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মধ্যে সমন্বয়। আর আমাদের মূলমন্ত্র হচ্ছে আবদুল কাদির মোল্লা। স্যারের ইনোভেটিভ চিন্তা-চেতনা, সময়োপযোগী সঠিক দিক নির্দেশনায় আমাদের এই ফলাফল অব্যাহত আছে। স্যারই প্রথম করোনার সময়ে  ভ্রাম্যমান পাঠদানের প্রবর্তন করেন। এবছরের শিক্ষার্থীরা যেহেতু করোনা মহামারীর সময়ে পড়াশোনা থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল। তাদেরকে নিয়ে আমাদের শিক্ষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।

উল্লেখ্য, নরসিংদীতে মানসম্মত শিক্ষা দানের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৮ সালে শহরের ভেলানগর এলাকায় থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা নরসিংদীতে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী মিসেস নাসিমা বেগমের নামে যৌথভাবে নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ১৪৫ জন তরুণ ও মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষিকার সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্কুলটি কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে স্কুলটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫  হাজার ১৫৫ জন।

 



এই বিভাগের আরও