নরসিংদীতে বাসের হেলপার হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন

১২ অক্টোবর ২০২২, ০৩:২০ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ এএম


নরসিংদীতে বাসের হেলপার হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর সাহেপ্রতাপে বাস হেলপার আলী হোসেন (২৫) হত্যার দায়ে অর্থদণ্ডসহ দুইজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শামীমা পারভীন এই দন্ডাদেশ দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো- নরসিংদী সদর উপজেলার সাহেপ্রতাব মাছিমপুরের মধু ভূঁইয়ার ছেলে মো. এখলাছ ভূঁইয়া (২৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরের বাহেরচরের মো. মোসলেম খানের ছেলে জুয়েল খান (৩৪) ও নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বেপারীপাড়ার মো. বাদল মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির (৪৪)।

এদের মধ্যে এখলাছ ভূঁইয়া ও জুয়েল খানকে ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ আমৃত্যু কারাদনণ্ড ও মো. সাব্বিরকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের জেলসহ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তারা সকলেই বাসের হেলপার।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট এম.এ.এন অলিউল্লা জানান, ২০১৬ সালের ৩ জুন রাতে বাসের হেলপার আলী হোসেনের সাথে মাদক বিক্রির পাওনা টাকা আদায় নিয়ে এখলাছ ভূঁইয়া, জুয়েল খান ও সাব্বিরের কথা কাটাকাটি হয়। সেসময় আলী হোসেনকে এক মেয়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় সাব্বির। পরে তাকে নিয়ে সাহেপ্রতাবের একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের পিছনে সময় নষ্ট করতে থাকে। মেয়ে না পেয়ে এক পর্যায়ে আলী হোসেন আবারও সাব্বিরের সাথে পাওনা টাকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু করে। ঝগড়ার একপর্যায়ে আলী হোসেনের গলায় গামছা পেচিয়ে ধরে জুয়েল। এসময় জুয়েলের নির্দেশে তার দেয়া ছুরি দিয়ে আলী হোসেনের গলায়, পেটে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করে এখলাছ ভূঁইয়া। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সেখান থেকে তিনজন তিন দিকে চলে যায়। 

ঘটনার পরদিন সকাল ৭টার দিকে সিএনজি পাম্পের পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পরদিন (৫ জুলাই) নিহত আলী হোসেনের মা ঝুনু বেগম অজ্ঞাতনামা আসামী করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন। 

ওই মামলায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পর্যায়ক্রমে এখলাছ ভূঁইয়া, জুয়েল খান ও সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করে।

৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৬ বছর পর হত্যায় জড়িত এখলাছ ভূঁইয়া ও জুয়েল খানকে ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ আমৃত্যু কারাদণ্ড ও মো. সাব্বিরকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের জেলসহ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শামীমা পারভীন।



এই বিভাগের আরও