মনোহরদীতে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, স্ত্রী আটক

২৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:৩০ পিএম | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ এএম


মনোহরদীতে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, স্ত্রী আটক

মনোহরদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মনোহরদীতে স্বামীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে স্ত্রী রিতা আক্তার ফালানি (২৫)। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের শিমুলকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


রাতেই আহত অবস্থায় স্বামী বকুল মিয়াকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে স্ত্রী রিতা বাজার থেকে কাফনের কাপড় কিনে ঘরে এনে রেখেছিল। আহত বকুল মিয়া সিংরাকান্দী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
ধারালো দায়ের কোপ হাত দিয়ে রক্ষা করলে দুই হাতই মারাত্মক জখম হয়। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ১৩টি সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনার পর খবর পেয়ে পুলিশ রিতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কাফনের কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা যায়, ২০০৬ সালে বকুল মিয়ার সাথে রিতার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের জিদান (১১) এবং তানহা (৭) নামের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর সংসারের স্বচ্ছলতা আনতে বিদেশে যায় বকুল মিয়া। বিদেশে থাকাকালিন উপার্জনের সকল অর্থ স্ত্রীর কাছে রেখেছিলেন তিনি। এক বছর আগে বিদেশ থেকে ফেরত আসার পর স্ত্রীর টাকার হিসাব চাইলে সে রাগারাগি করে এবং রাখা আরও এক লাখ টাকা ও একটি গাভী নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে তার বিরুদ্ধে আদালতে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করলে সামাজিক সালিশের সাধ্যমে তাকে আবার স্বামীর সংসারে ফেরত দেওয়া হয়।


আহত বকুল মিয়া জানান, ‘বুধবার রাতে বাজার থেকে বাড়িতে আসার পর দেখি ছেলে জিদান কান্নাকাটি করছে। তাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, মা তোমাকে মেরে ফেলবে বলে কাফনের কাপড় কিনে এনেছে। এ সময় স্ত্রী রিতাকে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে গালাগাল শুরু করে। এসময় আমার ভাই এবং ভাতিজা রিতাকে গালাগাল করতে নিষেধ করে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো দা দিয়ে আমার গলায় আঘাত করার চেষ্টা করলে আমি হাত দিয়ে রক্ষা করি। পরে সে আরও কয়েকটি কোপ দিলে আমার দুই হাত মারাত্মক জখম হয়। আমার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।’


মনোহরদী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রিতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখানো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।’



এই বিভাগের আরও