মনোহরদীতে নবম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক

০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৮ পিএম | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম


মনোহরদীতে নবম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
অভিযুক্ত ধর্ষক দুলাল মিয়া

মনোহরদী প্রতিনিধি ॥
নরসিংদীর মনোহরদীতে দুলাল মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধ কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রী। স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ওই ছাত্রী এখন পাঁচ মাসের অন্তু:সত্বা। অভিযুক্ত ধর্ষক উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের বীর মাইজদীয়া গ্রামের মৃত আ. জব্বারের পুত্র।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ধর্ষিতার বাবা মনোহরদী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ অভিযুক্ত ওই ধর্ষককে আটক করেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দুই সন্তানের জনক অভিযুক্ত দুলাল মিয়ার স্ত্রী স্থানীয় একটি কিনিকে আয়ার কাজ করেন। ছেলে প্রবাসী এবং মেয়ে স্বামীর বাড়ীতে থাকেন। দিনের বেলায় ফাঁকা বাড়ীতে দুলাল মিয়া একাই থাকেন। গত এপ্রিলের ২৭ তারিখ দুপুরে প্রতিবেশী কিশোরী তার বাড়ীর উঠান দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় দুলাল মিয়া তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে পানি আনতে বলে। পানি নিয়ে আসার পর দুলাল মিয়া দরজা আটকিয়ে ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে তাকে হত্যার ভয় দেখায় দুলাল।
একমাস আগে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর শারিরীক পরিবর্তন দেখা দিলে পরিবারের লোকজন জিজ্ঞেস করলে সে পুরো ঘটনা জানায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে ধর্ষক দুলাল মিয়া ও তার পরিবার ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।


মামলার বাদী ও ছাত্রীটির বাবা জানান, ‘মেয়েটি বৃদ্ধ দুলাল মিয়ার বাড়ীর উঠান দিয়ে যাওয়ার সময় নির্জন ঘরে নিয়ে ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে কু-কর্ম করে। তার এমন কাজে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। তার শারীরিক পরিবর্তন আমাদের নজরে আসলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনা প্রকাশ পায়। পরে থানায় গিয়ে মামলা করেছি।’
মনোহরদী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘অভিযোগ দায়েরের পর দুলাল মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে।’