মাধবদীতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২০ লাখ টাকা উত্তোলন গ্রেপ্তার ২

২৮ মার্চ ২০১৯, ০৬:২৫ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম


মাধবদীতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২০ লাখ টাকা উত্তোলন গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
নরসিংদীর মাধবদী থেকে আব্দুল হালিম নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণপূর্বক জিম্মি করে এটিএম কার্ড ও ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে একটি চক্র। এ ঘটনায় মাধবদী থানায় দায়ের করা মামলায় আবুল বাশার (৩৯) ও রনি (৩০) নামে অভিযুক্ত দুইজনকে তাদের ব্যবহৃত গাড়ীসহ গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আবুল বাশার যশোর জেলার অভয়নগর থানার চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মোস্তাকিম শেখ এর ছেলে ও রনি চাঁদপুর জেলার দক্ষিন মহিষাদী গ্রামের আক্কাস বেপারীর ছেলে।


এছাড়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মোস্তফা কামাল নামে দিনাজপুরের অপর এক আসামীর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু ও মনির হোসেন নামে আরও এক আসামী পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে নরসিংদীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ।  অপহরণের শিকার হওয়া ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট।


পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন জানান, উল্লেখিত আসামীগণ গত ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদীর খোর্দ্দ নওপাড়াস্থ পুলিশ চেকপোস্টের পশ্চিম পাশ সংলগ্ন কালভার্ট এলাকা থেকে নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি, মাধবদীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম.এ হালিমকে জোরপূর্বক কালো গ্লাসের একটি গাড়ীতে তুলে নেয়। এসময় তার চোখে কালো চশমা পড়িয়ে ও হাত পা বেঁধে জিম্মি রেখে সঙ্গে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও এটিএম কার্ড দিয়ে ডাচবাংলা ব্যাংকের বুথ থেকে ১ লাখ টাকা তুলে নেয়। এসময় ব্যাংক একাউন্টে রক্ষিত টাকার পরিমানও জেনে যায় তারা। পরে চেক বইয়ে ব্যবসায়ী হালিমের স্বাক্ষর নিয়ে আসামী মোস্তফা কামালের এনআইডি ব্যবহার করে ডাচবাংলা ব্যাংক সোনারগাঁও শাখা থেকে মোট ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হালিমকে অচেতন অবস্থায় মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় চক্রটি।


এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম মাধবদী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে টাকা উদ্ধার, আসামী শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। শনাক্ত হওয়ার পর দিনাজপুর থেকে গ্রেপ্তার করে আনার পথে মোস্তফা কামাল নামের এক আসামী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এ মামলার অপর দুই আসামী আবুল বাশার ও রনিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও পলাতক রয়েছে অন্যতম আসামী মনির হোসেন। গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকা ও টাকা ভাগবাটোয়ারা করার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ তাদের ব্যবহৃত একটি গাড়ীও জব্দ করেছে। অভিযুক্তরা সবাই পেশায় মূলত গাড়ির চালক। এ চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থানে একই কায়দায় ছিনতাই ও অপহরণে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।