মাধবদীতে ঘোড়ার মাংসে বিরিয়ানী বিক্রি সন্দেহে ৭ দোকান বন্ধের নির্দেশ

২৭ মে ২০২২, ০২:০২ পিএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম


মাধবদীতে ঘোড়ার মাংসে বিরিয়ানী বিক্রি সন্দেহে ৭ দোকান বন্ধের নির্দেশ

মাধবদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মাধবদীতে ঘোড়ার মাংস দিয়ে বিরিয়ানী বিক্রি করার সন্দেহে পৌর এলাকার ৭টি দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক গত বুধবার থেকে ৭টি দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

দোকানগুলো হলো- মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকার কোলকাতা কাচ্চি ঘর, বিসমিল্লাহ বিরিয়ানী হাউজ, নান্না বিরিয়ানী হাউজ, হাজী কাচ্চি ঘর, আল্লার দান হাজী বিরিয়ানী হাউস এবং মাধবদী বাজারে অবস্থিত কোলকাতা কাচ্চি ঘর ও আল্লার দান হাজীর বিরিয়ানী হাউজ।

মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক ও স্থানীয়রা জানান, এসব বিরিয়ানী হাউজে ভারতের প্যাকেটজাতকৃত ঘোড়া বা অজানা কোনো মাংস দিয়ে বিরিয়ানী, তেহারী ও কাচ্চি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। দোকানগুলো চালু হওয়ার পর থেকেই জনমনে প্রশ্ন ছিল অল্প টাকায় বেশি পরিমান মাংস দেয়া সম্ভব হয় কিভাবে? স্থানীয় কোনো মাংসের দোকান থেকে মাংস ক্রয় না করা, রাতে বা ভোরে প্যাকেটজাত মাংস সরবরাহ করা, বাড়ি থেকে রান্না করে দোকানে বিক্রি করাসহ মাংসের স্বাদ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও সন্দেহ দেখা দেয়। এসব অভিযোগ পেয়ে জনস্বার্থে মাধবদী পৌর কর্তৃপক্ষ তদারকি করে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে ৭টি বিরিয়ানী হাউজকে সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে নান্না বিরিয়ানী হাউজের মালিক মোঃ আল আমিন হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এই ধরনের অনেক বিরিয়ানী হাউজেই এই ধরনের প্যাকেটজাত মাংস ব্যবহার করা হয়।

তবে অন্য দোকান মালিকরা বলছেন, অনেকেই এই ধরনের প্যাকেটজাত মাংস ব্যবহার করে কিন্তু আমরা এসব মাংস ব্যবহার করি না।

মাধবদী বাজার হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, তারা সমিতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। তবুও সমিতির পক্ষ থেকে তাদেরকে ডেকে এনে এসব সন্দেহজনক মাংস ব্যবহার ও বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের কোন নিষেধ মানছেন না।

মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক বলেন, আমরা জেনেছি কিছু বিরিয়ানী হাউজের ব্যাপারে জনমনে সন্দেহ সংশয় দেখা দিয়েছে। ফলে দোকান মালিকদের ডেকে এনে কথা বলার পর অভিযোগের প্রমান পাওয়া গেছে। কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দোকান আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা যদি ভালো মাংস দিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা করেন তাহলে তাদের দোকান খুলে দেওয়া হবে।



এই বিভাগের আরও