মাধবদীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় অস্ত্রসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০২:২০ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম


মাধবদীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় অস্ত্রসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর মাধবদীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গুলিভর্তি একটি বিদেশী পিস্তল ও বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান।

এর আগে গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে মাধবদী থানার কোতয়ালীর চরের বিলপাড় এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

  
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার ছোট বালাপুর এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মো. ইয়াকুব আলী (৪০), ভলবদ্রদী এলাকার মনসুর আলীর ছেলে মো. মতিন মিয়া (৩২), শ্যামরাকান্দি এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে মো. হাসান আলী (২২), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার পরাবর্দী এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে আইনুল হক (২৪), বালিয়াপাড়া এলাকার জলিল মিয়ার ছেলে মো. ইয়াকুব (১৯), মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. আল আমিন (২৩), নয়নাবাদ এলাকার রশিদ ভূইয়ার ছেলে মো. রনি ভূঁইয়া (২৬) ও মৃত চেরাগ আলীর ছেলে মো. শরীফুল ইসলাম (২৬)।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একদল ডাকাত মাধবদীর কোতয়ালীর চরের বিলপাড় এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার ভেতরে বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন তথ্য পায় মাধবদী থানা পুলিশ। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০/১২ জনের ডাকাত দলটি পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এছাড়া ডাকাত ইয়াকুব তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে পুলিশের ওপর গুলি করার চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাত দলটির কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।


অভিযানের সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৩০০ পিস ইয়াবা, বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম (গানপাউডার), তিনটি ককটেল, একটি হাতুড়ি, ৪টি দা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ওই সময় ডাকাত দলটির ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, ডাকাত দলটির ১০/১২ জন সদস্যের মধ্যে আমরা ৮ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের মধ্যে ইয়াকুব আলী নামের এক ডাকাতের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন থানায় ১৩টি ডাকাতির মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। এছাড়াও অন্য ডাকাতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আমরা তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।