নরসিংদীতে জাল দলিলে জমি অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

১৩ অক্টোবর ২০২১, ০৭:০৫ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ এএম


নরসিংদীতে জাল দলিলে জমি অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাল দলিল সৃজন করে অন্যের জমির মালিক সেজে জমি অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন হামদু ভুইয়া নামে নরসিংদী হিসাবরক্ষণ অফিসের এক কর্মচারী। নরসিংদী সদর উপজেলার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের আটপাইকা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জমির মালিক মো. সেলিম মিয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জমির প্রকৃত মালিক ভুক্তভোগী মো. সেলিম মিয়া জানান, আট পাইকা মৌজায় তাঁর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া আড়াই শতাংশসহ পাশের জমিতে সম্প্রতি মাটি ভরাট শুরু হয়। তার জমিতে কেন মাটি ভরাট করা হচ্ছে মাটি ভরাট কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিকট জানতে চাইলে তারা জানান পল্লী বিদ্যুতের উপ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য এই জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে। জমি অধিগ্রহণ হয়ে গেছে এমন তথ্য পেয়ে বিস্মিত হন জমির প্রকৃত সেলিম মিয়া। পরে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ (এল.এ) শাখায় গিয়ে জানতে পারেন তার জমি অধিগ্রহণের বিল হিসেবে ১২ লাখ ৭ হাজার ৩৮০ টাকা উত্তোলন হয়ে গেছে।


এল.এ শাখার তথ্যমতে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার দড়িচর গ্রামের আবুল কাশেম ভূইয়ার ছেলে হামদু ভূইয়া অধিগ্রহণের এই টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। হামদু ভূইয়া জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের একজন কর্মচারী বলে জানতে পারেন জমির মালিক সেলিম মিয়া। জমি অধিগ্রহণের জন্য হামদু ভুইয়া কর্তৃক জমা দেওয়া জমির দলিল নং ১০৪৮৫/৭৩। পরে জেলা মহাফেজ খানা থেকে এই দলিলের অবিকল নকল সংগ্রহ করে সেলিম মিয়া নিশ্চিত হন এই দলিলটি অধিগ্রহণ করা জমির নয় এবং তাঁর জমির জাল দলিল তৈরি করে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এই তথ্য জমি অধিগ্রহণ শাখায় অবগত করা হলে তাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।


পরে সেলিম মিয়া জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে গিয়ে অফিসের কর্মচারি হামদু ভুইয়ার সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় অন্যের জমি অধিগ্রহণের টাকা কিভাবে উত্তোলন করলো জানতে চাইলে হামদু ভুইয়া সাব রেজিষ্ট্রার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন। এসব জালিয়াতির প্রতিবাদ করলে হুমকি দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়া হয় জমির মালিক সেলিম ও তাঁর স্বজনদের। তাঁর পৈতৃক জমি ফিরে পাওয়া ও জালিয়াতির ঘটনার বিচার দাবি করে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন সেলিম মিয়া।

এই জালিয়াতির অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বলেন, প্রতিদিন অনেক অভিযোগ আসে। এই অভিযোগটি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।