নরসিংদীর আলোচিত শাহ্ সুলতান মাল্টিপারপাসের সাবেক পরিচালককে মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি

১৮ মে ২০২২, ০২:২৭ পিএম | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭ পিএম


নরসিংদীর আলোচিত শাহ্ সুলতান মাল্টিপারপাসের সাবেক পরিচালককে মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীতে গ্রাহকদের দুই শত কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়া আলোচিত শাহ্ সুলতান মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটির সাবেক পরিচালক কামাল হোসেন সিকদারকে মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ওই মাল্টিপারপাসের লেনদেনে অসংগতির কারণে কামাল হোসেন সিকদার ২০১৬ সালে ওই কোম্পানী থেকে অব্যাহতি নিলেও তাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে দাবী পরিবারের।

বুধবার (১৮ মে) দুপুরে নরসিংদী শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী জানান দুই মামলায় পলাতক শাহ্ সুলতান মাল্টিপারপাসটির সাবেক পরিচালক কামাল সিকদারের স্ত্রী রুমা আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক পরিচালক কামাল হোসেন সিকদার এর স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, মো: কামাল হোসেন সিকদার ২০১০ সালে শাহ সুলতান গ্রুপের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে এই কোম্পানী কর্তৃক গ্রাহকদের নিকট থেকে আমানত সংগ্রহ ও লেনদেন কার্যক্রম সঠিক মনে না হওয়ায় শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি ২০১৫ সালের ১৫ জুন সমিতির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আইনগতভাবে আবেদন করেন। পরবর্তীতে শাহ-সুলতান গ্রুপের ২৩তম বোর্ড সভায় ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর গ্রুপের পরিচালকের পদ থেকে কামাল হোসেন সিকদারকে অব্যাহতি কার্যকর হয়। এর পর থেকে শাহ সুলতান কোম্পানীর সাথে কামাল হোসেন সিকদারের কোন সম্পৃক্ততা ও লেনদেন নেই। এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল প্রমাণপত্রও রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৬ বছর পর চলতি বছরের শুরুতে গ্রাহকদের প্রায় দুইশত কোটি টাকা নিয়ে শাহ্ সুলতান মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটির কর্মকর্তারা অফিস বন্ধ করে উধাও হয় বলে গণমাধ্যমের খবরে জানতে পারি। এ ঘটনায় মার্চ মাসে নরসিংদীর পলাশ ও মনোহরদীতে পৃথক দুটি অর্থ প্রতারনা মামলা দায়ের করেন কিছু গ্রাহক। মামলায় ৫ জন আসামী গ্রেপ্তারও হয়েছে। ওই মামলায় ১০ ও ১১ নং আসামী হিসেবে অভিযুক্ত করার কারণে মোঃ কামাল হোসেন সিকদার পলাতক রয়েছেন। যেখানে কামাল সিকদার কোম্পানীর কোন দায়িত্বেই নেই সেখানে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক ও ভিত্তিহীন। এই মামলার কারণে সুনাম নষ্ট হওয়াসহ আমরা পরিবারের সদস্যরা হয়রানীর স্বীকার হচ্ছি।


সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কামাল হোসেন সিকদারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে প্রকৃত জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এসময় কামাল হোসেন সিকদারের দুই কন্যাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


উল্লেখ্য, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধন নিয়ে ২০১০ সালে নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া এলাকায় শাহ সুলতান মাল্টিপারপাস কোম্পানী কার্যালয় স্থাপন করে। এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অধীনে গড়ে তোলা হয় শাহ সুলতান এম.সি.এস. কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ, স্বদেশ টেক্সটাইল লিঃ, শাহ সুলতান টেক্সটাইল লিঃ ও শাহ সুলতান প্রপার্টিজ লিঃ। প্রথমদিকে গ্রাহকদের নিয়মিত মুনাফা দেয়া হলেও চলতি বছরের শুরুতে দুই শত কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয় প্রতিষ্ঠানটি। এই ঘটনায় সমবায় দপ্তরে গ্রাহকদের অভিযোগসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও মামলা হলে র‌্যাব ৫ আসামীকে গ্রেপ্তার করে।

 

 



এই বিভাগের আরও