পাওনা পরিশোধের দাবিতে ইউএমসি জুটমিলের অস্থায়ী শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচী 

০৮ মার্চ ২০২১, ১২:৪৬ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম


পাওনা পরিশোধের দাবিতে ইউএমসি জুটমিলের অস্থায়ী শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচী 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে সরকার কর্তৃক বন্ধ ঘোষণা করা নরসিংদীর রাষ্ট্রায়ত্ব ইউএমসি জুটমিলের অস্থায়ী শ্রমিকরা। সোমবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিলগেইটের সামনের সড়কে এ কর্মসূচী পালন করেন তারা।

অস্থায়ী শ্রমিকরা জানান, অব্যাহত লোকসানের কারণে গত বছরের ৭ জুলাই নরসিংদীর ইউএমসি জুটমিলসহ দেশের সকল রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। বন্ধ ঘোষণার পর স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ সকল পাওনা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয় মন্ত্রণালয়।

পরে ইউএমসি জুটমিলে কর্মরত স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় ৬ হাজার শ্রমিকের  মধ্যে ৩ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে ব্যাংকের মাধ্যমে ১৬০ কোটি টাকা  ও সঞ্চয় পত্রের মাধ্যমে  ১৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু আশ্বাস দেয়ার পরও মিলটির প্রায় ৩ হাজার অস্থায়ী শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনার ২১ কোটি ১৭ লক্ষ  টাকা পরিশোধ করা হয়নি। বকেয়া এসব পাওনাসহ ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন শ্রমিকরা।

৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, শ্রমিকদের এরিয়া বিল প্রদান, ২০১৯ সালের ৫ সপ্তাহের বকেয়া বিল পরিশোধ, গত ০৪/০১/২০২১ তারিখের শ্রম ও কল্যাণ বিভাগীয় প্রধান এর বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ, মৃত শ্রমিকদের মৃতদাবী বিলসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ, মামলাকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ, সমস্ত শ্রমিকদের চুড়ান্ত হিসাব প্রদান, ০১/০৭/২০ ইং তারিখে অবসায়ন শ্রমিকদের চিঠি/সার্ভিস বই প্রদান, ০১/০৭/২০ ইং তারিখ হতে ঘোষিত ২০% মহার্ঘ্য ভাতার বকেয়া বিল প্রদান ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্রেট কতৃক নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প এর মাধ্যমে যে সমস্ত শ্রমিকদের নাম অন্যান্য সংশোধনের মাধ্যমে এভিডেভিড করে সোনালী ব্যাংক এর সঞ্চয়পত্র ফরম পূরণ করা হয়েছে তাদের টাকা পরিশোধ করা।

ইউএমসি জুটমিলের সিবিএ সভাপতি শফিকুল ইসলাম মোল্লা জানান, মিল বন্ধ ঘোষণার পর বেকার হওয়া জুটমিল শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্থায়ী শ্রমিকরা তাদের পাওনা পেলেও মিলটির প্রায় ৩ হাজার অস্থায়ী শ্রমিক তাদের চূড়ান্ত পাওনা এখনও পরিশোধ করা হয়নি। প্রায় ৩ হাজার শ্রমিকের ২১ কোটি ১৭ লক্ষ  টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানান তিনি।

 



এই বিভাগের আরও