নরসিংদীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে জলপাই

২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:১৯ এএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:০০ এএম


নরসিংদীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে জলপাই
Jolpai

বিগত ১০ বছর যাবত নরসিংদী জেলার উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা জলপাই চাষে ঝুকে পড়েছে। জেলার পাহাড়ী এলাকা শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব ও রায়পুরা উপজেলার কৃষকরা বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে জলপাই চাষ শুরু করেছে। এ অঞ্চলটি সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত থাকলেও গত কয়েক বছর যাবত পাহাড়ীয়া এলাকার অধিকাংশ চাষী সবজি চাষ বাদ দিয়ে জলপাই চাষের প্রতি আগ্রহ হয়ে পড়ছে বেশি।

রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ধুকুন্দী গ্রামের জলপাই চাষী আলিম উদ্দিন জানান, ইতিপূর্বে তিনি তার জমিতে সবজি চাষ করতেন তার বাড়ীর আঙ্গিনায় মাত্র চারটি জলপাই গাছ ছিল। এ চারটি গাছ থেকে তিনি ১ বছরে ১৫শত কেজি জলপাই পান এবং প্রতি কেজি জলপাই ৩০ টাকা করে মোট ৪৫ হাজার টাকা বিক্রি করেন।

এরপর থেকে তিনি লাভ বেশি হওয়ায় সবজি চাষ বাদ দিয়ে জলপাই চাষ শুরু করেছেন। বর্তমানে তিনি ২ একর জমিতে প্রায় ৪শত জলপাই গাছের এর চারা রোপন করেছেন। ২ একর জমি থেকে এবছর তিনি আনুমানিক ১২ হাজার কেজি জলপাই পেয়েছেন এবং প্রতি কেজি জলপাই পাইকারি ২০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এতে তার সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে !


জেলার শিবপুর উপজেলার শিবপুর বাজার, যশোর বাজার, মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া বাজার, বেলাব উপজেলার বেলাব বাজার ও রায়পুরা উপজেলার বারৈচা, মরজাল ও জঙ্গী শিবপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে প্রতি কেজি জলপাই ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে এসব জলপাই ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।

শিবপুর উপজেলার কামারটেক গ্রামের জলপাই চাষী আব্দুর বারেক জানায়, তিনিও ইতিপূর্বে সবজির চাষ করতেন। খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় তিনি জলাপাই চাষ শুরু করেছেন। তিনি বর্তমানে একজন সফল জলপাই চাষী হিসেবে নিজেকে সাবলম্বী করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এলাকায় জলপাই চাষী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। অধিকাংশ পাইকাররা তার বাড়ী গিয়ে জলপাই ক্রয় করে নিয়ে আসে।

 
নরসিংদী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই জানান, বর্তমানে নরসিংদীতে বানিজ্যিক ভিত্তিতে জলপাই চাষ করা হচ্ছে এবং সেগুলো দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশী রপ্তানী করা হচ্ছে। এতে করে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।



এই বিভাগের আরও