অনলাইনে হজ নিবন্ধনের টাকা ফেরতের আবেদন শুরু ১৯ জুলাই

১৩ জুলাই ২০২০, ০৮:৫৭ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ পিএম


অনলাইনে হজ নিবন্ধনের টাকা ফেরতের আবেদন শুরু ১৯ জুলাই

জীবনযাপন ডেস্ক:

চলতি বছর হজে যাওয়ার জন্য অনেকেই নিবন্ধন করলেও করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারছেন না। তবে হজযাত্রীরা চাইলে তাদের জমা দেয়া টাকা ১৯ জুলাই থেকে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যেমে টাকা রিফান্ডের সুযোগ পাবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। যদিও এর আগে ১৩ জুলাই থেকে এ আবেদনের কথা বলা হলেও কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় তা পেছানো হয়েছে।

সোমবার (১৩ জুলাই) হজযাত্রীদের নিবন্ধন রিফান্ড বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নূরুল ইসলামের শুভ উদ্বোধনের মাধ্যেমে শুরু হয়েছে বলে জানায় হজ অফিসের আইটি বিভাগ। বুধবার পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মন্ত্রণালয় ও হজ অফিস ইউজার, নিবন্ধনকারী ব্যাংকের ফোকাল কর্মকর্তা, সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনকারী কেন্দ্রের ইউজার ও নিবন্ধনকারী হজ এজেন্সির প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেবে হজ অফিসের আইটি বিভাগ।

রবিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৩ জুলাই নয়, ১৯ জুলাই থেকে অনলাইনে টাকা ফেরত নেয়ার আবেদন করা যাবে। এজন্য হজ বিষয়ক পোর্টাল অথবা নির্ধারিত লিংকে হজযাত্রী নিজে অথবা নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিবন্ধন বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন গৃহীত হলে তার অনুকূলে নিবন্ধন বাতিল ভাউচার তৈরি হবে এবং ২০২০ সালের নিবন্ধন বাতিল হবে। ভবিষ্যতে হজে যেতে হলে তাকে নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন বাতিলকারী ব্যক্তিকে কোনো রকমের কর্তন ছাড়াই প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা ফেরত দেয়া হবে।

সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ নিবন্ধন বাতিলকারী ব্যক্তির ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক থেকে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের জন্য জমাকৃত সব টাকা অনলাইনে সরকারি হজযাত্রীর একাউন্টে স্থানান্তর করা হবে। কোন হজযাত্রীর ব্যাংক হিসাব না থাকলে তার ইচ্ছা অনুযায়ী পে-অর্ডারে পরিশোধ করা হবে। এজন্য তাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নিবন্ধন বাতিল ভাউচার ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।

বেসরকারি হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের জন্য জমা দেয়া সব টাকা হজযাত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী সরাসরি নিবন্ধনকারী ব্যাংক থেকে অনলাইনে হজযাত্রীর একাউন্টে স্থানান্তর অথবা এজেন্সির মাধ্যমে প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে প্রাক-নিবন্ধনের জন্য জমাকৃত টাকা আগের ন্যায় পরিচালক, হজ অফিস ঢাকা থেকে হজযাত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী সরাসরি তাকে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে ফেরত প্রদান করা হবে।

অন্যদিকে যেসব হজযাত্রী রিফান্ড করবেন না তাদের জমা দেয়া টাকা কোন অবস্থাতেই এ পর্যায়ে হজ কার্যক্রম বাবদ বাংলাদেশে ব্যয় করা যাবে না এবং সৌদি আরবেও প্রেরণ করা যাবে না। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ব্যতীত কোন এজেন্সি ব্যাংক থেকে এ টাকা উত্তোলন করতেও পারবে না। এ বছর নিবন্ধনকারীদের জমা দেয়া টাকা আগামী বছর হজ প্যাকেজ মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।


বিভাগ : জীবনযাপন


এই বিভাগের আরও