মনোহরদীতে 'ধর্ষণের শিকার' নারী জন্ম দিল সন্তান,  কারাগারে প্রতিবেশি বৃদ্ধ

২৬ জুন ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫, ১২:০৫ এএম


মনোহরদীতে 'ধর্ষণের শিকার' নারী জন্ম দিল সন্তান,  কারাগারে প্রতিবেশি বৃদ্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর মনোহরদীতে 'ধর্ষণের শিকার' নারী জন্ম সন্তান দেয়ার ঘটনায় তার প্রতিবেশী দাদাকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা ঘটেছে।  বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে  নিশ্চিত করেছেন মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার।
 
 
অভিযুক্ত রহমান মিয়া (৫৮) মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে। পেশায় তিনি স্থানীয় বাজারে ভাঙ্গারী মালের ব্যবসায়ী। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার  করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। 
 
 
গতকাল বুধবার রাতে ভুক্তভোগীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, অভিযুক্তকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  জানা যায়, ভুক্তভোগীর মা একজন ভিক্ষুক এবং বাবা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। 
 
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী নারীর (১৮) বিয়ে হয় চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার দেওনা এলাকার রাকিবুল হাসানের সঙ্গে। বিয়ের মাত্র এক মাস পরই শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানতে পারেন মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। পরে, চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করে সে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত হয় তারা । 
 
অভিযোগে আরও বলা হয়, সাত মাস আগে এক দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশি সম্পর্কে দাদা আব্দুর রহমান জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি গোপন রাখতে নানা ভয়ভীতিও দেখান তিনি। 
 
বিয়ের পর ঘটনাটি প্রকাশ পেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটিকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশের আয়োজন করা হলেও অভিযুক্ত রহমান মিয়া দায় স্বীকার করেননি এবং মেয়েটিকে বিয়েতে সম্মত হননি।
 
এদিকে, গত ১৬ জুন ভুক্তভোগী নারী এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
 
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয় যে, “ গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয় কিন্তু সমাধান হয়নি।
 
 
এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, “মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার  করে আজ বৃহস্পতিবার  আদালতের মাধ্যমে কারাগারে  পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের  ডিএনএ টেস্ট  করা হবে। জন্ম নেয়া শিশুটির পিতৃ  পরিচয় ডিএনএ টেস্ট এর মাধ্যমে প্রমাণ মিলবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহমান মিয়া ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন পুলিশের কাছে।